whatsapp channel

নীল নয়, রহস্যময় এই সমুদ্রসৈকতের রং গোলাপি, বসবাস ভয়ঙ্কর কমোডো ড্রাগনের!

সমুদ্রতট মানেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে হলুদ বালির বিস্তৃত ভূমি। কিন্তু গোলাপি রঙের সমুদ্রতট যা সত্যিই বিরল। তবে বিরল হলেও গোটা পৃথিবীতে এমন গোলাপীর সমুদ্রতট এর অভাব নেই। এটাই…

Avatar

HoopHaap Digital Media

সমুদ্রতট মানেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে হলুদ বালির বিস্তৃত ভূমি। কিন্তু গোলাপি রঙের সমুদ্রতট যা সত্যিই বিরল। তবে বিরল হলেও গোটা পৃথিবীতে এমন গোলাপীর সমুদ্রতট এর অভাব নেই। এটাই প্রকৃতির এক অসাধারণ সৃষ্টি। ইন্দোনেশিয়ার কমোডোতে গোলাপি রঙের সমুদ্রতট দেখা যায়। ফরামিনিফেরা নামে একটি অণুবীক্ষণিক জীবের জন্যই সমুদ্রতল এমন গোলাপি রঙের আকার ধারণ করেছে। সমুদ্রতটে শুধুমাত্র গোলাপি সমুদ্র তটের জন্যই বিখ্যাত নয় এই জায়গাটি নামকরণেই রয়েছে কমোডো কথাটি অর্থাৎ এখানে রয়েছে ভয়ংকর সরীসৃপ প্রাণী কমোডো ড্রাগণ।

প্রকৃতি এখানের নানা রঙের খেলা দেখায়। দূরে চোখ দিলে ঘন নীল সমুদ্র, পাশেই রয়েছে সবুজ পর্বত, উপরে তাকালে নীল আকাশ, আর পায়ের নিচে গোলাপি সমুদ্রতট। গোলাপের সমুদ্রতটের পাশাপাশি জলের তলায় অসাধারণ প্রবালের সম্ভার রয়েছে। প্রায় ১০০ ধরনের নরম এবং শক্ত জাতীয় প্রবালের সন্ধান এখানে পাওয়া যায়। প্রবাল ছাড়াও এখানে রয়েছে নানা প্রজাতির মাছ। যদি ফটোগ্রাফি আপনার নেশা হয়ে থাকে তাহলে এই জায়গাটি ক্যামেরাবন্দি করার জন্য একেবারে উপযুক্ত। গোলাপি সমুদ্র পথে দাঁড়িয়ে নীল জলরাশির মধ্যে সূর্যাস্তের ছবি এক স্বর্গীয় অনুভূতি সৃষ্টি করে।

তবে এখানকার স্থায়ী বাসিন্দারা কিন্তু মারাত্মক অর্থাৎ কমোডো ড্রাগণ, এখানকারই বাসিন্দাটি। জলের তলায় কমোডো ড্রাগন আছে বলে বেখেয়ালি হয়ে তার ছবি তোলার আগে দশবার ভাববেন কারণ এই জন্তুটি সাংঘাতিক ভাবে সাঁতারে পারদর্শী। চোখের পলক পড়তে না পড়তে চলে এসে আপনার গা থেকে মাংস ছিঁড়ে নিয়ে খেতে এদের কিন্তু খুব একটা বেশি সময় লাগবে না। কমোডো ড্রাগন দের সংরক্ষণের জন্য এবং পর্যটকদের কাছে দেখানোর জন্য এখানে রয়েছে এটি কমোডো ন্যাশনাল পার্ক। সব মিলিয়ে এক অসাধারণ জায়গা ইন্দোনেশিয়ার কমোডো। প্রকৃতি এবং প্রাকৃতিক বন্যপ্রাণীর মেলবন্ধনে একেবারে ভরপুর এই এলাকা।u

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media