Unknown Fact: বিয়ের সঙ্গে মধু ও চাঁদের কোনো সম্পর্ক নেই, তাহলে কিভাবে এসেছে ‘হানিমুন’ শব্দটি!
আর কয়েকদিন পরেই শেষ হচ্ছে পৌষমাস। পৌষের পরেই আসছে মাঘ ও ফাল্গুন মাস। এই দুই মাসে প্রচুর বিয়ের লগ্ন রয়েছে। অনেকেই আগামী এই কয়েকদিনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন। আর একজন পুরুষ বা মহিলার কাছে বিয়ে হল জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই একটি ঘটনার পর দুটি জীবন বদলে যায় অনেকটাই। বদলে যায় চারপাশ, বদলে যায় জীবনধারা, বদলে যায় সবকিছু। আর এক্ষেত্রে অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ হলে এই চ্যালেঞ্জটা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। বর ও কনে, দুজনের কাছেই এই চ্যালেঞ্জ বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
তবে বিয়ের পর দুটি মানুষকে কাছাকাছি আনার জন্য বেশ কিছু রীতি প্রচলিত রয়েছে আমাদের সমাজে। আর বিবাহ পরবর্তী পর্যায়ে ‘মধুচন্দ্রিমা’ হল একটি গুরুত্বপূর্ণ রীতি। একে ইংরেজিতে ‘হানিমুন’ বলা হয়। এই রীতিতে জীবনের এমন কয়েকটি দিন কাটাতে হয় নবদম্পতিকে, যে দিনগুলিতে ভূমিকা লেখা হয় একটি দাম্পত্য জীবনের। কারণ সকলের থেকে দূরে গিয়ে দুজন দুজনকে চিনে নিতে পারেন এই কয়েকটি দিনে। আজকাল সামর্থ অনুযায়ী, অনেকেই অনেক স্থানে হানিমুনে গিয়ে থাকেন।
কিন্তু এই হানিমুন বা মধুচন্দ্রিমা শব্দগুলিকে ভাঙলে ‘হানি’ অর্থাৎ ‘মধু’ এবং ‘মুন’ অর্থাৎ ‘চাঁদ’ বা ‘চন্দ্রিমা’ শব্দগুলিকে পাওয়া যায়। কিন্তু মধু ও চাঁদের সঙ্গে হানিমুনের কোনো সরাসরি সম্পর্ক নেই। তাহলে হানিমুন বা মধুচন্দ্রিমা শব্দদুটি এল কিভাবে? এই প্রশ্ন অনেকের মনে আসে। কিন্তু এর উত্তর সঠিকভাবে কেউই বলতে পারেন না। এর উত্তর জানতে হলে কিছুটা ইতিহাসে যেতে হবে। এছাড়াও এই রীতির প্রচলনের বিষয়েও জানতে হবে। তাহলেই স্পষ্ট হবে এই শব্দের অর্থ।
অতীতে ইউরোপের দেশগুলোতে এই রীতি প্রচলিত ছিল। তাই এই ‘হানিমুন’ শব্দটি এসেছে প্রাচীন ইংরেজি শব্দ Hony Moone থেকে। এখানে Hony শব্দটির অর্থ হল নতুন বিয়ের পর মাধুর্য ও সুখ। এছাড়াও মুন শব্দটি হল সময়ের প্রতীক। কারণ চাঁদ হল গোলাকার। অন্যদিকে সময়ও চক্রের মতো চলে। যায় বিয়ের পর নতুন জীবন শুরুর আগে দাম্পত্যের সুখ ও মাধুর্যের স্বাদ নিতে যে সময় অতিবাহিত করা হয়, তাকেই হানিমুন বলা হত প্রাচীন ইউরোপে। সেখান থেকেই এসেছে মধুচন্দ্রিমা শব্দটিও। বলা বাহুল্য, এই রীতি আগে পাশ্চাত্য দেশে প্রচলিত থাকলেও এখন প্রাচ্যে এই রীতি বেশ চালু রয়েছে।