পরনে সাধারণ স্কুলের পোশাক, দেশাত্মবোধক গান গেয়ে ফেসবুকে ভাইরাল আদিবাসী মেয়ে চাঁদমণি
অনেক মানুষের প্রতিভার বহিঃপ্রকাশ ঘটে না। আর্থিক ঘাটতি অনেক সময় প্রতিভাকে বাইরে আসার সুযোগ দেয় না। তবে বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে এরকম অনেক লুকিয়ে থাকা প্রতিভা আমরা দেখতে পাই। এরকম বহু প্রতিভার যা আমাদের কাছে সারা জীবনের জন্য অজানা হয়ে থাকতো সেগুলো আজ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে আমাদের সকলের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে এবং শিল্পীরা তাদের প্রতি বহিঃপ্রকাশের একটি সঠিক মঞ্চ পাচ্ছে। যেমন রানু মন্ডল এর অত সুরেলা গলার খোঁজ মেলে সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই। বর্তমানে পাওয়া গেল নেহা কাক্কার এর মত অবিকল একই রকম গানের গলা।
বেশ কয়েক দিন আগে রানু মন্ডল ঠিক এভাবেই তাঁর প্রতিভার বহিঃপ্রকাশ করতে পারে। আসলে রানু মন্ডল রানাঘাট স্টেশনে বসে গান টুকটাক পয়সা রোজগার করত। তার অবিকল লতার মত গানের গলা দেখে অতীন্দ্র চক্রবর্তী নামে এক যাত্রী নিজেকে ধরে রাখতে না পেরে তাঁর গানের ভিডিও করে। শুধু তাই নয় মুহূর্তেই ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে গেছিল সোশ্যাল মিডিয়াতে। তার পরেই তার নাম সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে এবং তার প্রতিভাও তিনি জনপ্রিয় গায়ক হিমেশ রেশমিয়ার সাথে গান করার সুযোগ পায়। এবারেও ঠিক এরকমই এক অসাধারণ প্রতিভার খোজ পাওয়া যায়।
বর্তমানে জনপ্রিয় গায়িকা হলো নেহা কক্কর আর এবার খোঁজ মিলল অবিকল তার গানের কলার মত এক গরিব মেয়ের গলা। দরিদ্র পরিবারের এই মেয়েটি হুগলির বাসিন্দা। তরুণীটির নাম হল চাঁদমণি। সাঁওতালি এই তরুণীটির অসাধারণ গানের গলা নেটিজেনদের প্রাণ ভরিয়ে তুলেছে। নেহা কক্করের গাওয়া ” মিলে হো তুম হামকো ” এই গানটি কোন গানটি কন্যাটি গাওয়ার পর হতবাক সবাই। কি অপূর্ব তার গলায় সুর। তারি মধুর সুরে মুগ্ধ করেছে সকলকে। এবং এই গানটি গেয়েছে সম্পূর্ণ খালি গলায়। তার এই প্রতিভার প্রশংসা করেছে সকলে। টনি কক্কর তার সাথে পরবর্তী প্রজেক্ট করার পরিকল্পনাও করেছে। কেশোরী সিনেমার “তেরি মিট্টি ” বলে গানটি এই তরুণীটি আবার গায়ে এবং আবারো তার গানের অসাধারণ সুরে নেট দুনিয়ায় প্রশংসার ঝড় ওঠে। মুহূর্তেই ভাইরাল হতে থাকে তার গানের ভিডিও।