whatsapp channel
Hoop Life

Skin Care: গরমেও ত্বক থাকবে উজ্জ্বল, জেল্লাদার, এই দুই উপাদানেই লুকিয়ে ম্যাজিক

গরমকাল (Summer) আসতে চলেছে। সঙ্গে নিয়ে আসছে ঠাঠাপোড়া রোদ। আর সেই রোদের কারণে ত্বকের বারোটা বাজতে দেখতে হয় কমবেশি সবারই। অতিরিক্ত গরমে ত্বকের বড়সড় ক্ষতি হতেই পারে। তাই এই প্রতিবেদনে রইল একগুচ্ছ সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক টোটকা। এগুলি ব্যবহারে শুধুমাত্র যে একটি সমস্যার সমাধান হবে এমন কিন্তু নয়, নিয়মিত ব্যবহারে সার্বিক ভাবে উজ্জ্বল হবে ত্বক। কথা হচ্ছে অ্যালোভেরা জেল এর ব্যাপারে।

অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী প্রকৃতির এক অনবদ্য উপাদান। ত্বকের হাজারো সমস্যায় ব্যবহার করা যায় অ্যালোভেরা জেল। যাদের ব্রণর সমস্যা রয়েছে, ব্রণর দাগে মুখ ভর্তি হয়ে উঠছে, তারা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণর দগ হালকা হতে বাধ্য। পাশাপাশি রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বকেও খুব ভালো কাজ করে অ্যালোভেরা। গরমকালে বাইরে কাজে বেরোলেই হারিয়ে যায় জেল্লা। রোদে পুড়ে ত্বকের বড় ক্ষতি হতে পারে। সেক্ষেত্রে রোদে পোড়া ত্বকে অ্যালোভেরা স্বস্তি এনে দেয়।

অ্যালোভেরাতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই, বিভিন্ন খনিজ উপাদান, অ্যামিনো অ্যাসিড এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ত্বকের মৃত কোষে প্রাণ ফিরিয়ে ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে অ্যালোভেরা। ত্বককে প্রয়োজনীয় পুষ্টিও জোগায় ঘৃতকুমারী। এর নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হয়ে ওঠে সতেজ।

প্রদাহ উপশম করে অ্যালোভেরা জেল। যেকোনো ক্ষত নিরাময়েও দারুণ কাজ দেয় অ্যালোভেরা। মুখে কোথাও চোটের ফলে দাগ হয়ে গেলে অ্যালোভেরা লাগালে ক্ষত নিরাময় হয় এবং দাগও মিলিয়ে যায় ধীরে ধীরে। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল একত্রে দারুণ কাজ করে। ভিটামিন ই ক্যাপসুল অনেকেই সেবন করে থাকেন ত্বকের অকাল বার্ধক্য রুখতে। পাশাপাশি ত্বক পরিচর্যাতেও ব্যবহৃত হয় ভিটামিন ই ক্যাপসুল। বলিরেখা দূর করে ভিটামিন ই। অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুলের নির্যাস মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করলে চোখের নীচে ডার্ক সার্কেল দূর হয়। ত্বকের রুক্ষ ভাবও দূর হয় এই ফেসপ্যাকে। পুরুষরা শেভিং করার পর মুখে লাগাতে পারেন অ্যালোভেরা এবং ভিটামিন ই।

সতর্কীকরণ- উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনো রকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।

whatsapp logo

Nirajana Nag

আমি নীরাজনা নাগ। HoopHaap-এর একজন সাংবাদিক। বিগত চার বছর ধরে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। নিজের লেখার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাঠকদের কাছে পৌঁছে দিতে চাই