শনিবারের সকাল শুরু হওয়ার আগেই একটি মর্মান্তিক দুঃসংবাদ অপেক্ষা করে ছিল টেলি পাড়ার জন্য। প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা পার্থসারথি দেব (Partha Sarathi Deb)। কয়েকদিন আগেই শোনা গিয়েছিল তাঁর অসুস্থতার খবর। বিগত বেশ অনেকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। কিন্তু সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার হল না তাঁর। ইহলোকের দায়িত্ব মিটিয়ে পরপারের উদ্দেশে রওনা দিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা।
অভিনেতা পার্থসারথি দেবের মৃত্যু সংবাদ দিয়ে ঘুম ভাঙল টেলি পাড়ার। প্রথম খবর এসেছিল গভীর রাতে। তাঁর মৃত্যু সংবাদ প্রথম জানান অভিনেতা জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর মৃত্যু সংবাদ জানান তাঁরা। আর্টিস্ট ফোরামের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, ২২ মার্চ রাত ১১ টা বেজে ৫০ মিনিট নাগাদ প্রয়াত হন বর্ষীয়ান অভিনেতা। ২৩ মার্চ, শনিবার ১২টার সময় টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে রাখা থাকবে অভিনেতার দেহ। অভিনেতার সহকর্মী, ভক্তরা এসে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন তখন।
পার্থসারথি দেবের একটি ছবি শেয়ার করে জয়জিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘চলে গেলেন একজন অসাধারণ অভিনেতা পার্থ সারথি দেব। থাক আজ আর আমাদের সেসব দিনের কথা বলবোনা কমরেড।’ অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র একটি দীর্ঘ পোস্টে শোক জ্ঞাপন করে লিখেছেন, ‘ইন্ডাস্ট্রিতে কিছু সিনিয়র শিল্পীদের মধ্যে তুমি সেই একজন যে আমাদের মতন নতুন শিল্পীদের bully হওয়া থেকে বাঁচাতে সেই সময়.. স্নেহ এবং সাহায্যের হাত সব সময় বাড়িয়ে দিতে তাই আমরাও তোমাকে সম্মানের স্থানেই রেখেছি এবং রাখবো.. তুমিও টাটা বলতে কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময়, তোমাকেও টাটা বলছি আজ.. সাবধানে যেও!! বিদায়’।
কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল, বিগত এক মাসেরও বেশি সময় ধরে দক্ষিণ কলকাতার এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন অভিনেতা পার্থসারথি দেব। গত ৯ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। তিনি সিওপিডিতে আক্রান্ত ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর থেকে তিনি একাই থাকতেন বলে খবর। ছোটপর্দার সঙ্গে সঙ্গে বড়পর্দাতেও কাজ করেছেন পার্থসারথি দেব। লাঠি, প্রেম আমার এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। শেষ বার বগলা মামা যুগ যুগ জিও এবং রক্তবীজ ছবিতে দেখা গিয়েছে বর্ষীয়ান অভিনেতাকে। বাকি রয়ে গিয়েছে কিছু ছবির কাজ। সেসব অসমাপ্ত রেখেও চিরবিদায় নিলেন অভিনেতা পার্থসারথি দেব।