টলিউড অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের (Abhishek Chatterjee) মৃত্যুর পর দু বছর অতিক্রান্ত। ২০২২ সালে আজকের দিনেই টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে আছড়ে পড়েছিল দুঃসংবাদটা। শুটিংয়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। বাড়িতে রাত কেটেছিল অসুস্থতায়। সকাল হতে তাঁর মৃত্যু সংবাদ স্তব্ধ করে দিয়েছিল অনুরাগীদের। স্ত্রী কন্যা নিয়ে ছোট্ট সুখের সংসার ছিল অভিষেকের। তাঁর মৃত্যুর পর থেকে একমাত্র মেয়ে ডলকে মানুষ করছেন সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু অভিষেক নেই, একথা তাঁরা মানেন না। তিনি সবসময় তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন, তাঁর জন্যই তাঁরা ভালো রয়েছেন, এমনটাই বিশ্বাস সংযুক্তা এবং ডলের।
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সংযুক্তা বলেন, অভিষেকের মৃত্যুর পর প্রথম দিন থেকেই তাঁকে অনুভব করতে পেরেছেন তিনি। তিনি খুব কম বয়স থেকে ভগবত গীতা পাঠ করেন। আর অভিষেকের সঙ্গে তাঁর যখন প্রথম কথা হয়েছিল, তখনই তিনি তাঁকে নিজের পুজো পাঠের অভ্যাসের কথা জানিয়েছিলেন। সংযুক্তা জানান, মৃত্যুর আগের রাতেও অভিষেককে রাতের খাবার খাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি। অভিনেতার মৃত্যুর পর ‘দ্য লজ অফ দ্য স্পিরিট’ বইটি যেদিন তিনি প্রথম হাতে পান, সেদিনই অভিষেক তাঁকে স্বপ্নে দেখা দেন বলে জানান সংযুক্তা। তাঁদের আধ্যাত্মিক ভাবনা চিন্তার মিল রয়েছে বলেই এমনটা সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সংযুক্তা।
একটি ম্যাট্রিমোনিয়াল সাইট থেকে তাঁদের আলাপ। অভিনেতা শুটিংয়েও ঠাকুর সঙ্গে করে নিয়ে যান জেনে খুব অবাক হয়েছিলেন সংযুক্তা। অভিনেতা হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে তাঁকে আকর্ষণ করেছিলেন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, তাঁদের মধ্যে কখনো ঝগড়া হত না। স্ত্রীকে অত্যন্ত যত্ন করতেন অভিষেক। তারকা সুলভ ব্যাপার তাঁর মধ্যে ছিল না। তাঁদের মেয়ে ডল এবার ক্লাস নাইনে উঠবেন বলে জানান সংযুক্তা। তিনিও সবসময় অনুভব করেন বাবার উপস্থিতি। বড় হয়ে বাবার মতোই অভিনয়ে আসতে চান ডল।
তবে সংযুক্তা জানান, অভিষেকের মৃত্যুর পর থেকে টলিউড ইন্ডাস্ট্রি আর খোঁজ নেয়নি তাঁদের। অভিনেতার প্রয়াণের পর ২-৩ মাস অভিনেতা কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায় খোঁজ খবর রাখতেন। কিন্তু ছয় মাস পর তিনিও যোগাযোগ বন্ধ করে দেন বলে জানান সংযুক্তা। ২৪ মার্চ অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুবার্ষিকীটা সিরডিতে সাই বাবার স্মরণে কাটাবেন বলে জানান সংযুক্তা।