তাঁর মনে যা, মুখেও তাই। স্পষ্টবাদী স্বভাবের জন্য কম বিতর্কে জড়াতে হয়নি তাঁকে। কথা হচ্ছে অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের (Sreelekha Mitra) ব্যাপারে। যে কোনো বিষয়েই নিজস্ব মতামত জানাতে পিছপা হন না তিনি। এর জন্য বহুবার বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি। শুনতে হয়েছে সমালোচনা। তবুও পিছু হটেননি শ্রীলেখা। কিছুদিন আগেই মমতা শঙ্করের ‘শাড়ির আঁচল’ মন্তব্য নিয়ে যখন তোলপাড় নেটপাড়া, তখন বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর বক্তব্যকে সমর্থন করেই তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন শ্রীলেখা। এবার নিজের যৌন জীবন নিয়েও খোলাখুলি ভাবে মন্তব্য করতে শোনা গেল অভিনেত্রীকে।
সম্প্রতি এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে যৌনতার বিষয়ে স্পষ্ট আলোচনা করেন শ্রীলেখা। যৌনকর্মীদের পেশাকে ছোট করেই একেবারেই দেখা উচিত নয় বলে মত তাঁর। শ্রীলেখার কথায়, গুগলে যৌনতা বিষয়ক সার্চ সবথেকে বেশি হয়। অথচ দৈনন্দিন সমাজে বিষয়টা নিয়ে ছুঁতমার্গ অত্যন্ত বেশি। সেক্স এডুকেশন রাজ্যে, দেশে বা মানুষের মগজে শূন্য। এটা যেন শুধুই বংশবৃদ্ধির জন্য।
শ্রীলেখা আরো বলেন, একজন পুরুষ স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে তৃপ্ত না হলে বা সম্পর্ক না থাকলে পয়সা দিয়ে যৌনতা কেনেন। এখানে কারোরই দোষ নেই। আর এখন তো নারীদের পাশাপাশি পুরুষ যৌনকর্মীরাও রয়েছেন যারা মহিলাদের চাহিদা মেটান। এরপরেই নিজের কথা বলতে গিয়ে শ্রীলেখা বলেন, তাঁর জিগোলোর প্রয়োজন নেই। বিগত দেড় দু বছর ধরে কোনো যৌনজীবন নেই তাঁর, দাবি শ্রীলেখার। তিনি বলেন, তিনি এখন আধ্যাত্মিক হয়ে গিয়েছেন। জীবনের এই পর্যায়ে এসে যার তার সঙ্গে তিনি পারবেন না।
নিজেকে সাপিওসেক্সুয়াল এর তকমা দেন শ্রীলেখা। অর্থাৎ মানুষের বুদ্ধিমত্তা দেখে আকৃষ্ট হন তিনি। অভিনেত্রীর কথায়, পেশিবহুল পুরুষে তিনি আকৃষ্ট নন। কারণ ঘটনার আগে বা পরে মানুষটার সঙ্গে কথা বলতে গেলে যেটা প্রয়োজন সেটা হল মগজ। পুরুষের চিন্তাশক্তি, প্রচলিত ধ্যানধারণার প্রতি অবস্থান দেখে আকৃষ্ট হন শ্রীলেখা।
View this post on Instagram