ঘন্টার পর ঘন্টা দেরিতে চলছে দূরপাল্লার ট্রেন, কেন জানেন?
দূরপাল্লার ট্রেন ঠিক সময় চলছেনা যার জন্যও খুব বিপদে পড়েছেন যাত্রীরা। এ প্রসঙ্গে রেল কর্তারা দাবি জানিয়েছেন যে, রেলের আয় ব্যয়ের ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রায় 70% মালগাড়ি চালানো হয়। আর শুধু তাই নয়, এক একটা অঞ্চলের রেল লাইনের অবস্থা আর পণ্য পরিবহনের যেমন চাহিদা থাকে তেমন অনুযায়ী মালগাড়ি আর যাত্রীবাহী গাড়ি ট্রেনের যে সময় সেটা এক একবার এক এক ভাবে নির্ধারিত করা হয়।
তাছাড়াও এর ওপরে চলে রক্ষণাবেক্ষণ আর মেরামতির কাজ এই সমস্ত কাজের জন্যই যেক্ষেত্রে দূরপাল্লার ট্রেনের ভীষণ দেরিতে চলাচল করছে যার জন্য ঘুরতে হচ্ছে যাত্রীদের। দক্ষিণবঙ্গ রেল সুত্রে জানানো হচ্ছে, যে এই এক বছর ধরে ট্রেন গুলো কখনো পাঁচ, কখনো সাত আবার কি ন ঘন্টাও দেরিতে চলাচল করে, যার ফলে হাওড়া মুম্বাই দুরন্তের মতো দামি ট্রেনও কিন্তু এর মধ্যে পড়েছে।
দক্ষিণ পূর্ব রেলে যে ট্রেনগুলি চালানো হয়, সেগুলো পূর্ব উপকূল রেল, দক্ষিণ পূর্ব মধ্য রেল, দক্ষিণ রেলের মতো একাধিক জায়গা থেকে আসে। যেখানে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের সময়ানুবর্তিতা লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৮৫ শতাংশ সেখানে পূর্ব উপকূল রেলের লক্ষ্যমাত্রা প্রায় ৭৫ শতাংশ। সব দায় এসে পড়ছে দক্ষিণ পূর্ব রেলের ঘাড়ে। একই সমস্যায় ভুগছে উত্তর ভারত থেকে আসা পূর্ব রেলে ট্রেনগুলো।
তারপর যাত্রা ঠিক শেষ হওয়ার পরেই এই ট্রেনগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করতে হয়, তার জন্য ট্রেন চলাচলে বেশ খানিকটা দেরি হয়। আর কখনো কখনো যদিও বা নির্ধারিত সময় ট্রেন ছাড়ে, কিন্তু মাঝপথে লাইন ফাঁকা না থাকার জন্যও দাঁড়িয়ে থাকতে হয় যার ফলেও ট্রেন চলাচলে বিভিন্ন ঘটে। রেলের কর্তারা জানিয়েছেন, এই এতগুলো সমস্যায় কিন্তু ট্রেন চলাচলের পথে একটা বাধা সৃষ্টি করে, যার জন্যই সময় ট্রেন চলাচল করা একেবারেই সম্ভব হয় না।