বলিউডে একের পর এক তারকার বিচ্ছেদের গুঞ্জন লেগেই থাকে। তালিকায় নবতম সংযোজন অভিনেত্রী ঐশ্বর্য রাই বচ্চন (Aishwarya Rai Bachchan)। বলিউডের অন্যতম খ্যাতনামা অভিনেত্রী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বচ্চন পরিবারের বধূও তিনি। দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ রয়েছেন ঐশ্বর্য। কিন্তু ইদানিং তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে চর্চা রয়েছে তুঙ্গে। গত বছরের শেষ দিক থেকেই অভিষেক ঐশ্বর্যর বিচ্ছেদ নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। বিশেষ করে অভিনেত্রী নিজের বিয়ের আংটি খুলে ফেলতে চর্চা আরো জোরালো হয়।
অভিষেকের পরিয়ে দেওয়া বিয়ের আংটি এখন আর দেখা যায় না ঐশ্বর্যর আঙুলে। তবে একটি আংটি কখনোই নিজের হাত থেকে খোলেন না অভিনেত্রী। ‘ভি’ আকৃতির এই হীরের আংটিটি সবসময় নিজের অনামিকায় পরে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু কী এমন গুরুত্ব রয়েছে এই আংটির যে বিয়ের স্মৃতিচিহ্ন সরিয়ে ফেললেও এই আংটি নিজের থেকে আলাদা করেননি ঐশ্বর্য?
উল্লেখ্য, ঐশ্বর্যর হাতের এই আংটিটির নাম হল ‘ভেঙ্কি আংটি’ বা ‘ভাদুঙ্গিলা’। এটি বিয়ের চিহ্ন হিসেবে মানা হয়। তাই বিবাহিত মহিলারাই এই আংটি পরে থাকেন। বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতীয় মহিলাদের মধ্যে এই আংটি পরার চল সবথেকে বেশি। জানা যায়, বিয়ের দিন এই আংটি মঙ্গলসূত্রের মতোই পরিয়ে দেওয়া হয় কনেকে। মূলত কনের বৌদি বা কাকিমা এই আংটি উপহার দেন। জানা যায়, দক্ষিণ ভারতের রাজপরিবারের কন্যারা প্রথম এই আংটি পরার শুরু করেন।
তবে ম্যাঙ্গালুরুর বান্ট সম্প্রদায়ের কাছে আবার এই ভেঙ্কি আংটির গুরুত্ব অন্য রকম। এই সম্প্রদায়ের মানুষ নিজেদের নাগ বংশের বংশধর বলে মনে করেন। তারা নাগ উপাসক হিসেবে পরিচিত। এই ভেঙ্কি আংটিকে তারা সাপের উত্থিত মাথা হিসেবে দেখে থাকে। বিয়ের পর এই আংটি নববধূকে সবরকম বিপদ আপদ থেকে রক্ষা করবে বলে বিশ্বাস তাদের।