Hoop News

কোথায় ছিলেন ঘটনার দিন? ৪ দিন ধরে ম্যারাথন জেরা, কোন তথ্য উঠে এল সন্দীপ ঘোষের বয়ানে!

আরজিকর কাণ্ডে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে সিবিআইকে। আর তদন্তের দায়িত্ব গ্রহণ করার পরপরই আরজিকর এর প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে (Sandip Ghosh) ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বিগত তিন দিনের পর সোমবারও সিবিআই তলব করে সন্দীপ ঘোষকে। কী জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে প্রাক্তন অধ্যক্ষকে? সিবিআই তদন্তকারীদের কতটা সাহায্য হচ্ছে সন্দীপ ঘোষের বয়ানে? ?

শুক্র, শনি, রবিবারের পর সোমবারও সন্দীপ ঘোষকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠায় সিবিআই। এদিন সকাল ১১ টার মধ্যে হাজিরা দিতে বলা হয় তাঁকে। সিবিআই সূত্রে খবর, সন্দীপ ঘোষের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হচ্ছে, ঘটনার দিন কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, কখন খবর এসে পৌঁছায় তাঁর কাছে, তিনি কী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন বা চেস্ট মেডিসিন বিভাগে কর্মরত কোনো চিকিৎসকের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ করেছিলেন কিনা।

সিবিআই তদন্তভার গ্রহণ করার পরপরই ঘটনাস্থল যে সেমিনার রুম, তারই সংলগ্ন রুমে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হয়। সেমিনার হল সংলগ্ন এলাকায় ভাঙচুর চালানো হয়। এই ঘটনা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছিল বিতর্ক। কার নির্দেশে হয়েছিল সে কাজ? সিবিআই এর তরফে সন্দীপ ঘোষকে এ প্রশ্ন করা হয়েছে বলে খবর। তবে জানা যাচ্ছে, তিনি যা উত্তর দিয়েছেন তাতে সম্পূর্ণ রূপে সন্তুষ্ট নয় সিবিআই কর্তারা। তাই বারংবার ডেকে পাঠানো হচ্ছে তাঁকে।

জানা গিয়েছে, সন্দীপ ঘোষের বয়ানের সঙ্গে হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসক, নার্সিং স্টাফ, গ্রুপ ডি স্টাফদের বয়ান মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনো তথ্য তিনি আড়াল করার চেষ্টা করছেন কিনা বা তাঁর বয়ানে কোনো অসঙ্গতি রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। উল্লেখ্য, আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের জোরালো দাবির চাপে পড়ে সকালে অধ্যক্ষের পদে ইস্তফা দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ। বিকেলে ফের তাঁকে ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত করা হয় রাজ্য সরকারের তরফে। তবে এরপরেই মেডিকেল কলেজের পড়ুয়ারা প্রতিবাদ শুরু করে তাঁর বিরুদ্ধে। উপরন্তু হাইকোর্টও সন্দীপ ঘোষকে ১৫ দিনের জন্য কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠায়।

Related Articles