ছাত্র হিসেবে কেমন ছিলেন? আরজিকর এর প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে বিষ্ফোরক প্রাক্তন সহপাঠীরা
আরজিকর কাণ্ডে তদন্তভার হস্তান্তর করা হয়েছে সিবিআইকে। আর তারপরেই তদন্তকারীদের নিশানায় এসেছেন আরজিকর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। লাগাতার জেরা করা হচ্ছে তাঁকে। এখনো পর্যন্ত চারদিন সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। সেদিনের ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করা হচ্ছে তাঁকে। অন্যদিকে সন্দীপ ঘোষকে নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠে আসছে সাধারণ মানুষের মনেও? আদতে কেমন মানুষ এই সন্দীপ ঘোষ?
বিভিন্ন তথ্য থেকে জানতে পারা যায়, সন্দীপ ঘোষ ছাত্রাবস্থায় ছিলেন যথেষ্ট মেধাবী। উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ হাইস্কুল থেকে পড়াশোনা করেছেন তিনি। ১৯৮৯ সালে ৮০ শতাংশ নম্বর নিয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন তিনি। এখন আরজিকর কাণ্ডে তাঁর নাম জড়ানোয় হতবাক ওই স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষট থেকে তাঁর সহপাঠী এবং সিনিয়ররা।
স্কুলের এক প্রাক্তন শিক্ষক বলেন, ছাত্র হিসেবে সন্দীপ ঘোষের কোনো তুলনা ছিল না। পড়াশোনা থেকে গঠনমূলক কাজেও তাঁর জুড়ি মেলা ভার ছিল। এমনকি কোনো রকম দুষ্টুমি করতেও দেখা যায়নি তাঁকে স্কুলে। এহেন একজন ছাত্রের আরজিকর কাণ্ডের মতো ঘটনায় নাম উঠে আসায় খারাপ লাগার সঙ্গে সঙ্গে অবাকও হয়েছেন সন্দীপ ঘোষের প্রাক্তন শিক্ষক এবং তাঁর সহপাঠীরা। আরো জানা গিয়েছে, ছাত্রাবস্থায় পড়াশোনা নিয়েই থাকতেন সন্দীপ ঘোষ। খুব বেশি বন্ধুবান্ধব ছিল না তাঁর। পরবর্তীতে ডাক্তারি নিয়ে পড়াশোনার পর আরজিকর হাসপাতালে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগ দেন তিনি।
উল্লেখ্য, আরজিকর এর অধ্যক্ষ হিসেবে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে। বাধ্য হয়ে আরজিকরের অধ্যক্ষ পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। তারপরেই ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করা হয় সন্দীপ ঘোষকে। আর তারপরেই ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজেও বিক্ষোভ শুরু হয় তাঁর বিরুদ্ধে। বর্তমানে হাইকোর্টের নির্দেশে ছুটিতে রয়েছেন সন্দীপ ঘোষ। সেই সঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজিরা দিচ্ছেন সিবিআই দফতরে।