দিদিমার সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জনের মাঝেই বাবা হচ্ছেন ভূপালচন্দ্র!
রানী রাসমনি! রাসমনি মানেই প্রথমে মাথায় আসে হালিশহরের মেয়ে। ১০ বছরে বাবু রামচন্দ্র দাসের সাথে বিয়ে করে লাজুক রানি পালকি করে কলকাতাতে আসেন। ধীরে ধীরে বনেদি সাজে কলকাতার গৃহিনী হয়ে ওঠেন। এখন আর বাবু রাজচন্দ্র নেই, একাই জামাই আর নাতিদের সাহায্যে নিজের শ্বশুরবাড়ির পৈতৃক ব্যবসা সামলাচ্ছেন। এখন রাসমনী মানেই গাম্ভীর্য। এখন এই ছোট্ট রানী হয়ে উঠেছেন সকলের রানীমা যে সকলের দুঃখ নিয়ে ভাবেন।
রানী রাসমনি ধারাবাহিকে রানীমার কৈশর থেকে দেখানো হয়েছে ধারাবাহিকে সাথে দেখানো হয়েছে রানিমার আগের প্রজন্ম। তার পরে রানীমা নিজের সন্তানদের জন্ম দেন এমনকি তাদের মধ্যে দুই পুত্রীকে হারিয়ে ও ফেলেন। এরপর নিজের মেয়েদের সন্তানদের মানু্ষ করেন। এ বারে গল্পের নতুন মোড় আসতে চলেছে। আর একটি নতুন প্রজন্মের গল্প শুরু হবে ভূপালচন্দ্র ও প্রসন্নময়ীর সন্তানের আগমনের মাধ্যমে। পরবর্তী প্রমোতে তাই দেখানো হয়েছে। এবার রানিমার বড়ো মা হওয়ার পালা। আর মথুরামোহনের দাদু হওয়ার পালা।
‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’ ধারাবাহিকে বড় মোড় আসতে চলেছে ‘সুন্দরবন পর্ব’-তে। হবু সন্তানের মা প্রসন্নময়ীরূপী লাজুক আর আনন্দে আত্মহারা হয়ে নিজের প্রথম মা হওয়ার খবর দিচ্ছেন পরিবারের সকলকে। ভূপালের দিদিমা অর্থাৎ রাসমনি শুনে তো বেজায় খুশি। বাবা মথুরামোহন বিশ্বাস ও মা জগদম্বা তো আনন্দে আটখানা। বাড়িতে নতুন সদস্য আসতে চলেছে জেনে পরিবারের সকলে আনন্দে ডগমগ করছে। কিন্তু এরই মাঝে এল দুঃসংবাদ! ভূপালকে নাকি বাঘে টেনে নিয়ে গেছে। দুঃসংবাদ পেতে না পেতেই জগদম্বা ছেলের শোকে অসুস্থ হয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যান। ‘রাণীমা’ ও তাঁর সেজো জামাই মথুর হাতে পিস্তল নিয়ে তাঁদের ঘরের ছেলেকে ফিরিয়ে আনতে সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন।
একদিকে প্রথম বাবা হওয়ার আনন্দ তো অন্যদিকে বাঘে টেনে নিয়ে যাওয়ার ক্ষত? কি হবে পরবর্তী এপিসোডে? রানি মা কি তার আদুরে নাতিকে বাঁচাতে পারবে। এসব সামলে কেমন আছেন ভূপাল? ভূপাল ওরফে জানালেন এক সংবাদমাধ্যমে সুন্দরবন পর্বের শ্যুটিংয়ের মাঝে দরুণ ব্যস্ত থাকায় তিনি এখনো নিজের আনন্দ প্রকাশ করতে পারেননি। রিল আর রিয়েলে দুইতেই প্রথম বাবা হওয়ার খবর বেশ আনন্দময়। অভি়জ্ঞতাটা সবসময়েই অপূর্ব বোধহয়। তবে বাস্তবে এখনও সেই আনন্দের সম্মুখীন হননি।