২১ এর হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শুরু হতে না হতেই চলছে দলাদলির খেলা। সবুজ এখন গেরুয়া তে মেতেছে।অমিত শাহ যেই পরিকল্পনা নিয়েছেন যে তিনি বাংলা জয় করবেন সেই হিসেবে মেলানোর জন্যই তৎপর তিনি। টলিউডের একে একে অনেকেই নাম লেখাচ্ছেন গেরুয়া শিবিরে। কৌশিক রুদ্রনীল থেকে শুরু করে যশ দাশগুপ্ত পর্যন্ত চলে এসেছেন গেরুয়া মহলে। বিজেপির পতাকা হতে তুলে নিয়েছেন অনেক চেনা মুখ।
খেলা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। কে কখন অন্য দলে ঝাঁপ দিচ্ছে তার আন্দাজ করা মুশকিল। এই যেমন অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি তে যোগ দিয়েছেন। তার সাফ কথা, বাংলা থেকে লক্ষ্মী চলে গিয়েছে। হিরণের দল পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “আমি সাধারণ ঘরের ছেলে। সাধারণের দুঃখ কষ্ট বুঝি। আর রাজনীতি, সমাজ এবং সিস্টেম পরিবর্তনের বিরাট বড় হাতিয়ার। হাতে ক্ষমতা না থাকলে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ আটকানো যাবেনা। ২০১৪ তে এই স্বপ্ন নিয়ে একটা দলে যোগ দিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম অনেক কিছু হবে। বাংলার পরিবর্তন হবে। কিন্তু রাস্তায় শুধু নীল সাদা রং ছাড়া আর কিছু হয়নি। হতাশ হয়েছি। এরপর নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশ জুড়ে যে কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে তাতে যোগ দিচ্ছি। উন্নয়নের জন্য সর্বভারতীয় দলকে ক্ষমতায় চাই।”
২০২১ এর ভোটের আগেই বহু সাধারণ মানুষও কার্যত তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। বিশেষ করে টলিউডের বহু অভিনেতা ও অভিনেত্রী আজ বিজেপির ঘরে প্রবেশ করেছে । বাংলায় বিজেপি আনতে যখন তৎপর অমিত শাহ ঠিক তখনই অমিত শাহকে খোঁচা দিয়ে দেবী সরস্বতীর ভুল মন্ত্র উচ্চারণ করলেন ব্যানার্জি পরিরিবারের সদস্য ও মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে হিরণের কথায় স্পষ্ট যে তিনি অলক্ষ্মী বিদাই করার জন্য যথেষ্ট তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন এবং বিজেপির ঘরে নাম লিখিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সরকার তাকে শুধুই ব্যাবহার করেছে কিন্তু প্রতিদানে কিছু দেয়নি।