সামনেই ২১ এর বিধানসভা ভোট। রাজনীতির ময়দানে অভিষেক ঘটেছে সদ্য। মার্চ মাসের শুরুতে বিজেপিতে যোগ দিয়েই সামনের বিধানসভা ভোটে প্রতিদ্বন্দিতা করার টিকিট পেয়ে গিয়েছেন এই তারকা প্রার্থী। তিনি আর কেউ নন টলিউডের জনপ্রিয় বাবলি অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। ছোটবেলা যে জায়গায় কেটেছে সেই বেহালা পশ্চিমের হয়ে ভোটের ময়দানে লড়ছে কৃ।। একুশের ভোট এখন সব দলের প্রার্থীদের কাছে পাখির চোখের মতো। আর ভোটে রণক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র থেকে নরেন্দ্র মোদীর এক বলীয়ান সৈনিক হিসেবে তিনিই লড়বেন শক্তিশালী তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
দু’দিন আগেই বেহালা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্র থেকে গেরুয়া শিবির থেকে টিকিট পেয়েছেন শ্রাবন্তী। তাও আবার লড়ছেন তৃণমূলের শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রে এর আগে চারবার তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন পার্থ আর চার বারই জয়ী হয়েছেন তিনি। ২০০৬ সালে গোটা রাজ্যে বামফ্রন্টের ব্যাপক জয় হওয়া সত্ত্বেও ওই কেন্দ্রে জিতেছিলেন বিরোধী দলনেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
যত বড় প্রতিদ্বন্দ্বী হোক তিনি নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসী। তিনি এক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বেহালার মেয়ে তিনি। তিনি আরো বলেন, রাজনীতির ময়দানে সত্যিই তো নতুন। দেখা যাক। বেহালার মানুষের ওপর তাঁর বিশ্বাস ও আশ্বাস আছে। লড়াই তো সবে শুরু হয়েছে। শ্রাবন্তী আরো জানান, বেহালার আদি বাড়ি। পুরো পরিবারকে সবাই চেনে। চট্টোপাধ্যায় বাড়ি। অভিনেত্রীর দাদু ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। তাঁরই নাতনি তিনি। তিনি নায়িকা হওয়ার আগে থেকেই বেহালাবাসী আমায় ভালভাবে চেনে। বেহালা গেলেই তাঁর মনে হয় নিজের বাড়ি।
মার্চের শুরুতে দলে যোগ দিয়ে নিজের এলাকায় লড়তে পেরে অভিনেত্রী আনন্দে উচ্ছ্বসিত। অভিনেত্রীর ছোটবেলা কেটেছে সেখানেই। স্কুলও সেখানেই। তাই সেখান থেকেই মনোনয়ন পেয়ে বেশ খুশি। শনিবার বিকালে কপালে গেরুয়া টিকা, গলায় বিজেপির উত্তরীয় আর পায়ে স্নিকার পড়ে ভোট যুদ্ধের জন্য তৈরি শ্রাবন্তী। সকালে শিব মন্দির এবং লোকনাথ মন্দিরে পুজো দিয়েই ভোট প্রচার শুরু করলেন তিনি। হাতে তুলি তুলে নিয়ে পদ্মফুল দিয়ে করলেন দেওয়াল লিখনও। এরপর দেখা করলেন এলাকাবাসীর সঙ্গেও। আর সেখানে গিয়ে অনেক ভালোবাসা পেলেন। আর সেই ভালোবাসা পেয়ে আপ্লুত তিনি। আর সেই সব মুহূর্ত নিজের ইন্সটাগ্রাম পোস্টে শেয়ার করলেন৷ নিমেষে ভাইরাল পোস্ট। এবার এটাই দেখার বেহালা পশ্চিমে ঘরের ‘মেয়ে’ নাকি ‘ছেলে’ কে ভোটের যুদ্ধে শেষ হাসি হাসবে তা জানা যাবে আগামী ২ মে।
View this post on Instagram