ভোটের প্রচারে মানবিক সায়ন্তিকা, দুঃস্থ মেয়ের চিকিৎসার দায়িত্ব নিজ কাঁধে নিলেন অভিনেত্রী
একুশের ভোট। এই ভোটকে ঘিরে অনেকেই পাখির চোখের মত লক্ষ্যভেদের অপেক্ষায় বসে আছেন। সামনেই বাংলাতে বিধানসভা ভোট। আর এই ভোটের আগেই দিনক্ষণ ঘোষণার আগে থেকেই সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন টলিপাড়ার একাধিক তারকারা। কেউ সবুজ ঘাসফুল বেছে নিচ্ছেন তো কেউ পদ্মশিবিরে নিজের নাম লেখাচ্ছেন। মার্চের শুরুতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়।। এরপরই ৫ই মার্চ তৃণমলের প্রার্থীর তারকায় নাম তুলে নিয়েছেন অভিনেত্রী সায়ন্তিকা। তিনি বাঁকুড়ার বিধানসভার হয়ে দাঁড়িয়েছেন।
প্রার্থী হওয়ার পর বাঁকুড়ায় নিজের ঘাঁটি তৈরী করলেন তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়ায় গিয়েই প্রথমে মহামায়া মন্দিরে যান পুজো দিয়েছন। এরপর সেখানে পুজো দিয়ে তিনি যান বাঁকুড়ার প্রাক্তন বিধায়ক প্রয়াত কাশীনাথ মিশ্রর বাড়িতে। সেখানে তাঁর পরিবারের সাথে দেখা করার পর তিনি বাঁকুড়ার তৃণমূল ভবনে যান। সেখানে সাংবাদিক সম্মেলনে চুটকি বাজিয়ে তিনি নিজের অভিনীত প্রথম ছবি ‘আওয়ারা’ ছবিতে নিজের ছবির ডায়লগ আওড়ালেন বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী। বললেন, , “মার গুড় দিয়ে রুটি, চিনি দিয়ে চা। বিজেপি এখান থেকে তাড়াতাড়ি পাত্তাড়ি গোটা। খেলা হবে”।
বাঁকুড়া শহরে গিয়ে জনস্রোতে ভেসেছেন সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সকল মানুষের ভিড়ে ঘরের মেয়ের মতো মিশে গিয়েছেন। এই জনস্রোত ও ভিড়ে গিয়ে বেশ খোসমেজাজে ছিলেন অভিনেত্রী। তিনি এমনকি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেনরিল লাইফে মানুষের অনেক আশীর্বাদ পেয়েছি। আর রিয়েল লাইফেও তার অন্যথা হয়নি। এবার নতুন ময়দানে সকলের আশীর্বাদ পেয়ে নামতে চেয়েছেন। এবার অভিনেত্রী সেই সব মুহুর্ত নিজের ইন্সটাগ্রাম হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছেন। জানালেন, “বাঁকুড়ার মানুষের স্নেহ ও ভালোবাসা পেয়ে তিনি আপ্লুত”।
View this post on Instagram
প্রসঙ্গত,গত বছর নভেম্বর মাসে বাঁকুড়া সফরে এসেছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর চতুরডিহি গ্রামের বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতেই মধ্যাহ্ন ভোজ সেরেছিলেন তিনি। সেইসময় বিভীষণ হাঁসদা ভেবেছিলেন, হাই ব্লাড সুগারে আক্রান্ত মেয়ে রচনা হাঁসদার চিকিৎসার বিষয়ে অমিত শাহর সঙ্গে তিনি কথা বলবেন। কিন্তু সে সুযোগ মেলেনি। আগেও তৃণমূলের তরফে কলকাতায় নিয়ে গিয়ে, কখনও আবার বিজেপির তরফে দিল্লিতে গিয়ে রচনা হাঁসদার চিকিৎসার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু শেষে কিছুই হয়নি৷ তবে সায়ন্তিকা ভোটে জিতলে রচনার চিকিৎসা শুরু হবে বলে আশ্বাস দিলেন রচনার অসহায় পিতাকে।
এখন অভিনেত্রী প্রচারে বেশ ব্যস্ত। বৃহস্পতিবার, প্রচারের ফাঁকেই স্থানীয় বাসিন্দা বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে উপস্থিত হয়েছেন সায়ন্তিকা। ভোট দেওয়ার আবেদনের পাশে সায়ন্তিকা আরো একটি কথা বলেন, ভোটে জিতলে বিভীষণ হাঁসদার মেয়ের চিকিৎসার যাবতীয় দায়ভার তিনি গ্রহণ করবেব বলে এই প্রতিশুতি দিয়েছেন। তাহলে কি সায়ন্তিকা নিজের এই বন্ধুত্বপূর্ণ হাত দিয়ে সকলের মন জিতে নিতে পারবে এটাই এখন দেখার।
ভোটে জিতলে তাঁর অসুস্থ মেয়ের চিকিৎসার যাবতীয় দায়ভার গ্রহণ করবেন। বাঁকুড়ায় বিভীষণ হাঁসদার বাড়িতে গিয়ে বললেন সায়ন্তিকা।