বাম প্রার্থী সেলিমকে দেখেই গাড়ি থামালেন যশ, রাজনীতি ভুলে পায়ে হাত দিয়ে করলেন প্রণাম
“ওরে নবীন, ওরে আমার কাঁচা, ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ, আধমরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা।” চলছে নবীন প্রবীণের লড়াই। চলছে নতুন পুরাতনের জমাটি লড়াই। ভোটের দামামা ইতিমধ্যে বেজে গিয়েছে। এবার দেখার পালা কে কাকে বাঁচাবে, কেই বা আধমরাদের সঠিক সন্মান, শিক্ষা ও চাকরি দিয়ে বাঁচাবে। একদিকে দুয়ারে সরকার, অন্যদিকে সোনার বাংলা গড়ার সরকার। সকলেই ব্যাস্ত নিজের প্রচার কার্যে। একটি সিট ও গোটা রাজ্য নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে চলার লড়াই মানে রেষারেষি,কুকথা, অসম্মান, ও মিথ্যে প্রতিশ্রুতি। কিন্তু, পরবর্তী কাহিনী অনেকটা আলাদা। দুই প্রতিপক্ষ মুখোমুখি, তারপর?
মহম্মদ সেলিম পশ্চিমবঙ্গের প্রথম সারির একজন রাজনীতিবিদ। ১৯৯১ সালে তিনি রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন, পরপর ২বার তিনি রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের নিশানায় তৃণমূল এবং বিজেপি উভয়ে । যেহেতু চন্ডীতলা কেন্দ্রের প্রার্থী তিনি, তাই তার টক্কর এবার বিজেপির নবীন প্রার্থী যশ দাশগুপ্তর সঙ্গে।
গতকাল, অর্থাৎ শনিবার সন্ধ্যা বেলা চন্ডীতলা লালে লাল করে বেড়িয়ে ছিলেন সেলিম। পথেই দেখা নবীন বিজেপি প্রার্থী যশ দাশগুপ্তর সঙ্গে। একজন রাম তো অন্যজন বাম। নাহ, সংঘাত হয়নি, বরং হয়েছে বাক্যবিনিময়, সন্মান প্রদর্শন ও ভালোবাসা। যেহেতু সেলিম একজন প্রবীণ ও দক্ষ রাজনীতিবিদ, তাই তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে দ্বিধা বোধ করেননি যশ।
একে প্রতিপক্ষ, তার মধ্যে টলিউডের অভিনেতা, তিনি যদি পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন তাতে বুক ফুলে ওঠে। ঠিক এমনটাই হয় সেলিমের সঙ্গে। অভিনেতার সন্মান প্রদর্শন দেখে আনন্দে আপ্লুত হয়ে ওঠেন মহম্মদ সেলিম। দু হাত দিয়ে আশীর্বাদ করেন যশকে।
View this post on Instagram
আগামী ২ রা মে বলবে ভোটের ফলাফল। ইতিমধ্যে চারিদিকে সবুজ ও গেরুয়ার লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষার পালা।