সুচিত্রা সেন! বাঙালির সর্বকালে সেরা নায়িকা নায়িকা বললে কম। সকলের প্রিয় মহানায়িকা ইনি। যাকে ছোঁয়া ছিল বেশ কঠিন। তিনি ছিলেন সকলের ধরা ছোঁয়ার বাইরে৷ অভিনয় জীবনে যেমন দাপটের করার সময় এবং পরবর্তীতে অবসর জীবনে ছিলেন বেশ কড়া ধাঁচের মানুষ। এমনকী মৃত্যুর সময় পর্যন্ত তাঁর শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী দেখা যায়নি তাঁর বার্ধক্যজনিত জর্জরিত চেহারা৷ তিনি ছিলেন সুচিত্রা সেন তাই তাঁর শেষ ইচ্ছের দাম এখনো রেখেছেন অভিনেত্রীর উত্তরসূরী।
আজ ৯০-তম জন্মবার্ষিকী মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের। আপামর বাঙালির মনে আজও জায়গা করে আছেন এই রূপসী অভিনেত্রী। একসময়ের সকল বাঙালির স্বপ্নের নায়িকা ছিলেন তিনি। অবশ্য বয়স বাড়ার সাথে ক্যামেরা থেকে দূরে সরে গিয়েছিলেন তেমনি নিজেকে অন্তরালে রেখেছিলেন। তাই তাঁর বেশি বয়সের ছবি আমরা কোনোদিন দেখেনি। পসেই জন্য সুচিত্রা সেন বলতে আমাদের সকলের সামনে তাঁর অল্প বয়সের ছবিই ভেসে আসে। ৭ বছর আগে, ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি তিনি না ফেরার দেশে চলে যান। তবে বাঙালির মনে তিনি এভারগ্রীন অভিনেত্রী। আজ ও অভিনেত্রী সকলের কাছে চিরতরুণী।
আজ অভিনেত্রীর ৯০ তম জন্মবার্ষিকী। তিনি আজ আমাদের মধ্যে নেই তবে অভিনেত্রীর উত্তরসূরী আমাদের মধ্যেই আছেন। রাইমা সেন ও রিয়া সেন অভিনেত্রীর দুই নাতনি। মানুষ মারা গেলেও তাঁর কাজ বেঁচে থাকে। দিদা আর ছোট নাতনির মধ্যে মুখের আদলে অনেকটাই মিল আছে। রাইমা ভালোবেসে নিজের দিদাকে আম্মা বলে আদুরে ডাক ডাকতেন। আজকের বিশেষ দিনে ছোট নাতনি ফিরে গেলেন পুরোনো স্মৃতির পাতায়।
বাঙালি দর্শকেরা বরাবর অভিনেত্রী রাইমাকে তাঁর দিদার সঙ্গে তুলনা করে এসেছেন। এই নিয়ে অবশ্য একসময় বিরক্তিও প্রকাশ করেছিলেন রাইমা সেন। তবে এই ছবি দেখলে বোঝাই যায় দুজনের মধ্যে বেশ মিল আছে। প্রিয় আম্মার কোলে ছোট্ট রাইমা। ছবিতে সুচিত্রা সেনের ঠোঁটে লেগে রয়েছে এক আলাদাই হাসি।মহানায়িকার কোলেই খিলখিলিয়ে হাসছেন পুচকে রাইমা। দিদা নাতনির এই মিষ্টি ছবি দেখার মতো। ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রী ক্যাপশনে লিখলেন, ‘শুভ জন্মদিন আম্মা। তুমি চিরকাল আমাদের মনের কাছাকাছি থাকবে’। এরপর অনুগামীরা ভালোবাসা জানিয়েছেন। নিমেষে ভাইরাল হয় এই পোস্ট।
View this post on Instagram