whatsapp channel

মুখ ফিরিয়ে নেন দীর্ঘদিনের প্রেমিক, সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুললেন সঞ্জয় কন্যা ত্রিশলা

ত্রিশলা দত্ত বলিউড স্টার সঞ্জয় দত্তের বড় কন্যা। সঞ্জয় দত্তের প্রথম পক্ষের স্ত্রী রিচা শর্মা। তাঁদেরই কন্যা ত্রিশলা। মার্কিন মুলুকে নিজের দাদু-দিদার কাছে বড় হয়েছেন ত্রিশলা। ১৯৯৬ সালে ব্রেন ক্যান্সারে…

Avatar

HoopHaap Digital Media

ত্রিশলা দত্ত বলিউড স্টার সঞ্জয় দত্তের বড় কন্যা। সঞ্জয় দত্তের প্রথম পক্ষের স্ত্রী রিচা শর্মা। তাঁদেরই কন্যা ত্রিশলা। মার্কিন মুলুকে নিজের দাদু-দিদার কাছে বড় হয়েছেন ত্রিশলা। ১৯৯৬ সালে ব্রেন ক্যান্সারে রিচার মৃত্যু হয়। তার পরে সঞ্জয় দত্ত আরও ২টি বিয়ে করেছেন। সঞ্জয়ের তৃতীয় স্ত্রী মান্যতার যমজ ছেলে-মেয়ের বড় দিদি হন তিনি।

ত্রিশলার জন্ম গ্ল্যামার জগতে তবে এই দুনিয়ার সঙ্গে কোনওরকম সম্পর্ক নেই অভিনেতার সঞ্জয় দত্তের এই জ্যেষ্ঠ কন্যার। তবে তিনি কম সুন্দরী নন অভিনেত্রী। মায়ের মৃত্যুর পর আমেরিকাতে নিজের পড়াশোনা শেষ করেন। তবে তিনি অভিনয় জগতে নন, এখন তিনি একজন প্রফেশানাল সাইকোথেরাপিস্ট। যতই লেডি ডাক্তার হন এই সেলেব কন্যা। তবেও তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয়। নিজের ছবির সাথে প্রায়শই মানসিক অবসাদ বা ডিপ্রেশন এবং মানসিক সচেতনতা নিয়ে নানান পোস্ট করে থাকেন।

কেবলমাত্র নিজের কাজ নয় পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করে থাকেন। এছাড়া নিজের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে অনুরাগীদের সাথে খোলাখুলি কথা বলেছেন। আগেও বহুবার মুখ খুলেছেন তিনি, এদিন ফের বোমা ফাটালেন সঞ্জয় দত্তের মেয়ে। ২০১৯ সালে ২রা জুলাই মৃত্যু হয় তাঁর প্রেমিকের। তাঁর সাথে নানান ছবি পোস্ট করলেও সেই প্রেমিকের নাম আর তাঁর মৃত্যুর কারণ কোনোদিন সেই সব কিছুই বলেননি।

সম্প্রতি ত্রিশলা নিজের ইন্সটাগ্রাম স্টোরিতে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ বা ‘ধোঁকা’ দেওয়ার বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলেন। তিনি সকলের কাছে জানতে চান, ঠিক কী কারণে কোনো সম্পর্কে আবদ্ধ থেকেও একজন নারী বা পুরুষ তাঁর পার্টনারের সঙ্গে ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ করে? এরপরই একজন ইউজার তাঁকে সরাসরি জিজ্ঞেস করেন, ত্রিশলার কোন সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয়েছিল। আর সেটা কিভাবে শেষ হল। অবশ্য ত্রিশলা চুপ থাকার পাত্রী নন, তিনি সরাসরি এই প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি বললেন, তাঁর একজনের সাথে সাত বছর একটানা সম্পর্ক স্থায়ী ছিল।

তবে সেই সম্পর্ক ভাঙার কথা বিস্তারিত তিনি কিছুই বলেননি। শুধু এইটুকু বলেছেন, তাঁরা একসঙ্গে মিলে সেই সম্পর্ক শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। দুজনেরই সহমত ছিল। তবে সেই প্রেমিক নিজের একটা জীবনের জন্য তৈরি ছিল, কিন্তু ত্রিশলা সেই মুহূর্তে তৈরী ছিলেননা। এরপর তাঁদের মধ্যে নানান বিষয় নিয়ে মতবিরোধ দেখা দিয়েছিল। তবে এখন দুজনেই নিজেদের জীবনে এগিয়ে গিয়েছেন, বেড়ে উঠেছেন, আগের থেকে অনেকটাই ম্যাচিওর। আর এটা ঘটেই থাকে। আজ সেই মানুষটি বিবাহিত, সে তাঁর সন্তানদের বাবা। তবে তাঁর জন্য ত্রিশলার শুভকামনা রয়েছে সবসময়।

whatsapp logo
Avatar
HoopHaap Digital Media