ছোট থেকে যাকে এক নারী কোলে পিঠে করে বড় করে তোলে তাকেই নিজেরসন্তান হিসেবে ভাবতে ভালো লাগে। নিজের পেটের সন্তানের থেকে এরা সবচেয়ে বেশি আপন হয়। আর জন্ম না দিয়েও মা হওয়া। মানুষ হোক কিংবা সারপেয় সকলেরই একটি মন আছে। আর মন থেকেই মা হওয়া যায়। একটা ছোট্ট সারপেয় প্রাণীকে দত্তক নিয়ে বাড়ি আ সেরকমই দুটি কুকুর ছানাকে নিজের সন্তানের মতো মানুষ করেছেন সাংসদ অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। একজনের নাম ম্যাক্স, অন্যজনের নাম চিকু।
সদ্যই ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিল চিকু। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সাহায্য চেয়েছিলেন অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে এসেছিল সাহায্যও। অনেকেই মিমির পোস্টে সন্ধান দিয়েছিলেন বিভিন্ন চিকিৎসার। প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন অভিনেতা রাজ চক্রবর্তী সহ অনেকেই। চিকুর চিকিৎসার জন্য চেন্নাইও পাড়ি দিয়েছিলেন মিমি। সেখানে তামিলনাড়ুর ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমাল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিরেক্টর ডক্টর এস বালাসুব্রহ্মণ্য মিমির পোষ্যের চিকিৎসা করছেন। সুস্থ হয়ে ফিরে এসেছিল মা ছেলে। ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন, সুস্থ হয়ে উঠছে অভিনেত্রীর আদুরে সন্তান।
এরপর ১৭ই এপ্রিল আরো একটি পোস্ট করলেন। শেষ রক্ষা হল না। মাকে ছেড়ে সন্তান চিকু না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছে। ক্যান্সার জিতে গেলো চিকু হেরে গেল। চিকুর বিদায়বেলায় মিমির দুটি ছবি পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। একটি চিকুর ছবি। অন্যটি চিকুকে কবর দেওয়ার। দুটি ছবি কোলাজ করে শেয়ার করে সাথে মিমি লিখেছেন, আমার হৃদয়ের একটা অংশ তুমি নিজের সঙ্গে করে নিয়ে গেলে। সমস্ত কষ্ট শেষ। এবার তুমি বিশ্রাম নাও। মা তোমাকে ভালোবাসে।
সন্তান হারানোর কষ্টে মর্মাহত হয়ে পড়েছেন অভিনেত্রী। কাজ থেকে বাড়ি ফিরে যাদের দেখে স্ট্রেস মুক্ত হতেন তাদের মধ্যে একজন নেই। তবে চিকুর জায়গা কেউ নিতে পারবেনা। অভিনেত্রীর বড় ছেলেকে যেখানে কবর দেওয়া হয় সেখানে গতকাল যান মিমি। চিকুর কবরের ওপর ফুল দিয়ে, ধুপ জ্বালিয়ে চিকুর আত্মার শান্তি প্রার্থনা করেন । সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন চিকুর প্রিয় খাবারও। সেই খাবার নিজে হাতে অন্য কুকুরদের খাইয়ে দেন মিমি। বাড়িতে চিকুর জন্য পুজোর আয়োজনও করা হয়েছিল। থালায় সাজানো খাবার, ফুলের মালায় ঢাকা চিকুর কবর। ধুপ হাতে সাদা পোশাকে মনখারাপি এই ছবি মিমির বেশ ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে।
View this post on Instagram