BollywoodHoop Plus

মাস্ক খুলে অভিনেত্রীর সঙ্গে সেলফি তোলার আবদার ভক্তের, জনসমক্ষে মেজাজ হারালেন সারা আলি খান!

বলিউডের অন্যতম ফ্যাশান আইকন সারা আলি খান। সইফ আলি খান ও অমৃতা সিং এর কন্যা। পতৌদি বাড়ির বড় মেয়ে। ২০০৪ সালে সইফ-অমৃতার বিয়ে ভেঙে যাওয়ার সময় সারার বয়স ছিল ৯ বছর। তার পর তিনি তাঁর ভাই ইব্রাহিমের সঙ্গে বড় হন অমৃতার কাছেই। তা বলে বাবার প্রতি ভালোবাসা কমেনি। বাবা ও সৎ মা করিনা কাপুর খানকে ও বেশ সম্মান করেন অভিনেত্রী। এমনকি বাবার সাথে থাকলে তৈমুর আলি খানকে নিয়ে সারাদিন থাকে।

এই স্টারকিড অভিনয়ের আগে ‘হ্যালো’ ম্যাগাজিনের জন্য সারা মা অমৃতার সঙ্গে ফোটোশ্যুট করেন। এরপর মডেলিং দিয়ে নিজের কেরিয়ার শুরু করেন। মডেলিং এর সাথে সাথে বলিউডে ‘কেদারনাথ’ সিনেমা দিয়ে সারা আলি খান অভিষেক করেন। এরপর ‘সিম্বা’, ‘লাভ আজ কাল’,’কুলি নং ওয়ান’ সিনেমা দিয়ে অভিষেক করেন অভিনেত্রী। এই অভিনেত্রী নিজের ফ্যাশনে এখন থেকে মাত করে রেখেছেন বলিউড তাই তো অনেকে ফ্যাশানিস্তাও বলে থাকেন।

অভিনেত্রী খুব কম সময়ে অভিনয় জগতে এসে নিজের অভিনয় দিয়ে ক বেশ নাম করেছেন। নিজের ফ্যানেদের সাথে বরাবর খোশমেজাজেই ধরা পড়েছেন পাপারিজ্জদের কাছে। হঠাৎ তিনি এক ফ্যানের সাথে সেলফি তুলতে গিয়ে মেজাজ হারালেন। কিন্তু কেন? হঠাৎ কি হল সারা। এক অনুরাগীর সেলফি তোলার অতি উৎসাহ দেখে মেজাজ হারালেন সারা। আর এই ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ার পাতাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কি হয়েছে আসলে?

সম্প্রতি এই করোনা আবহে কিছুদিন আগেই ইনস্টাগ্রামে মা ও ভাইয়ের সঙ্গে গুলমার্গে বেড়ানোর ছবি, ভিডিও শেয়ার করেছিলেন সারা। মুম্বই বিমানবন্দর থেকে বের হচ্ছিলেন অভিনেত্রী। সেই সময় হঠাৎ এক ফ্যান এসে তাঁর সাথে ছবি তুলতে চায়। আর সেলফি তোলার সময়ে অনেকটাই কাছে চলে আসে অভিনেত্রীর। এমনকি সেই পুরুষ অনুরাগী ছবি তোলাতে উত্তেজিত অবস্থায় মুখের মাস্ক পর্যন্ত নামিয়ে ফেলেন। আর সেই মুহূর্তে অভিনেত্রী রেগে যান ছেলেটি মাস্ক খুলে ফেলাতে। এই সময় অভিনেত্রীর মুখে মাস্ক এবং ফেস শিল্ড ছিল তাঁর। এরপর সারা হাত জোড় করে ওই ফ্যানকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিলেন তিনি।

যতই তিনি সেই অনুরাগীকে করোনা আবহের জন্য সতর্কবার্তা দিলেও সকল নেট নাগরিকের কাছে ট্রোলড হতে হল। নেট নাগরিকরা ক্ষিপ্ত হয়ে প্রশ্ন তোলেন অভিনেত্রীর এ হেন আচরণ দেখে করোনা সংক্রমণের সময় গোটা দেশে মানুষ যখন মারা যাচ্ছে, তখন সারার ছুটি কাটানো কি খুব জরুরি ছিল। এই নিয়েই মালদ্বীপ নাগরিক বলে নানান ট্রোলিং করা হয়েছে। অনেকেই জিজ্ঞেস করেন তখন কোথায় ছিল নায়িকার সচেতনতা? তবে এর উত্তর অভিনেত্রী দেননি।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Jasus Here (@jasus007)

Related Articles