শাশুড়ি বৌমার সম্পর্ক নিয়ে অনেকেরই কৌতূহল তুঙ্গে থাকে। বেশিরভাগ মহিলা মহল গসিপের প্রধান টপিক হল শাশুড়ি বৌমার সম্পর্কের রসায়নের গন্ধ। কে কার সঙ্গে কেমন আচরণ করেন, কে কি পছন্দ করে অপছন্দ করে এরকম নানান বিষয়। সেরকমই যখন শর্মিলা ঠাকুর তার বৌমা করিনা কাপুর খানের রেডিও টক শোতে এসেছিলেন তখন অনেক অজানা গল্প প্রকাশ পেয়েছিল দর্শক ও শ্রোতাদের সামনে।
বলিউড প্রেমী মানুষদের কাছে অভিনেত্রীদের খানদানি গল্প বা গসিপ একটা পছন্দের বিষয়। খবরের কাগজ খুলে পেজ থ্রি’র পাতা দেখা বা অনলাইনে বিনোদন পেজ দেখা একটা অভ্যাস বলা চলে। সেরকমই আজকের কাহিনী হল করিনা ও শর্মিলার সম্পর্কের রসায়নের স্টোরি।
ওই টক শোতে এসে করিনা জানান যে তার শাশুড়ি মা ভীষণ শক্তিশালী এবং মডার্ন। এবং শর্মিলাকে ‘আইকন এবং সেরা’ হিসেবে প্রশংসা করেছেন তিনি। এমনকি বেবো নিজেকে শর্মিলার বৌমা হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করেন বলেও জানিয়েছেন। করিনার কথা অনুযায়ী শর্মিলা নাকি ভীষণ আদুরে এবং যত্নশীল। যখন প্রথম সইফ করিনাকে নিজের বাড়িতে আনেন তখন থেকেই করিনাকে সমস্ত স্বাধীনতা দিয়ে স্বতন্ত্র রেখেছেন শর্মিলা। বিয়ের পর করিনা থাকেন মুম্বাইতে অন্যদিকে শর্মিলা থাকেন দিল্লিতে। ইচ্ছে করেই ছেলে ও বৌমার থেকে সাময়িক দূরত্ব রেখে চলেছেন শর্মিলা। তার দাবি, বৌমাকে স্বাধীনতা দিলে সংসার টিকে যায়।
শর্মিলা ঠাকুর এমনিতেই বৌমার প্রশংসায় পঞ্চমুখ থাকেন। সেই চ্যাট শোতে শর্মিলা এও জানিয়েছিলেন যে করিনাকে কোনো মেসেজ করা হলে তার রিপ্লাই দ্রুত আসে, কিন্তু তার মেয়ে বা ছেলে অনেক পরে রিপ্লাই করে। নাহ এখানেই শেষ নয়, ওই চ্যাট শোতে করিনা প্রথমে জিজ্ঞাসা করেন, মেয়ে ও বৌমার মধ্যে পার্থক্য কী? শর্মিলা বললেন, ”মেয়ে, যাঁর সঙ্গে তুমি বেড়ে ওঠো। সুতরাং, তাঁর সমস্ত অনুভূতি তুমি জান। বুঝতে পার কীভাবে তাঁর রাগ কিংবা দুঃখের সঙ্গে মোকাবিলা করবে। কিন্তু তোমার বৌমার সঙ্গে আলাপ হয় যখন সে পরিণত। তাঁর টেম্পারমেন্ট তুমি জানো না বললেই চলে। তাঁকে মেশার সময় দিতে হবে। তাঁকে সহজ করার দায়িত্ব বাড়ির বাকি লোকের।”