চলতি বছরেই শ্রীলেখা মিত্রর (Sreelekha Mitra) বাবা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। অভিনেত্রীর স্মৃতিতে, তিনি তার বাবার শেষ বিদায়ের দিন তার বুক পকেটে একটা দামী সিগারেট গুঁজে দেন। বাপ-মেয়ের দুজনের প্রিয় সুখটান ছিল সিগারেট। একটা সময় বাবার ঘর থেকে সিগারেট চুরি করে খেতেন অভিনেত্রী, তারপর মেয়ে বড় হতে তারই ঘর থেকে সিগারেট চুরি খেতেন সেই বাবা। বাবা মেয়ের বন্ধন বরাবর মধুর ছিল, আরো দুষ্টু মিষ্টি সম্পর্ক ছিল এই সিগারেটকে কেন্দ্র করে। আসলে একটা সময় পর বয়স্ক মা বাবারা সন্তানদের বন্ধু হয়ে যায়।
সম্প্রতি, একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ‘অভিযাত্রিক’ ছবির ‘রাণুদি’ অর্থাৎ শ্রীলেখা। প্রসঙ্গ তার ধূমপান। আমরা যেকোনো সিনেমা শুরুর পূর্বে ধূমপান ও মদ্যপান নিয়ে সতর্কতামূলক কিছু লাইন শুনি, কিন্তু মাথায় গাঁথি না। যারা এই লাইনগুলো বলেন তাঁরা অধিকাংশ ধূমপানে সামিল। যতই সিগারেটের বক্সের গায়ে লেখা থাকুক ক্যানসারের কারণ, কিন্তু এই চারমিনার ঠোঁটে না থাকলে মনে হয় মগজটাই ফাঁকা।
ব্যস্ত জীবনে মগজ ধোলাই করার জন্য অধিকাংশ সময় সিগারেটের ঠোঁটে ঠোঁট মেলান শ্রীলেখা। ছোটবেলা থেকে একটা স্বভাব তৈরি করেছিলেন তিনি, পরে তা অভ্যাসে পরিণত হয়, এখন শরীর খারাপ চূড়ান্ত। অভিনেত্রীর কথায়, এবার সিগারেট ছাড়তেই হবে। বেশ কিছুদিন ধরে গলায় ব্যাথা নিয়ে রয়েছেন তিনি। এদিন তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, /”গলায় সারাক্ষণ অস্বস্তি। দম নিতেও কষ্ট হচ্ছে। সারাক্ষণ বুকে যেন চাপ ধরা ভাব”। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে নিজে থেকেই সিগারেট ছাড়ার চেষ্টায় রত অভিনেত্রী।
ছোটবেলায় সিগারেট খেয়ে গায়ে পারফিউম ছড়ানো থেকে শুরু করে ফুলশয্যার খাটে স্বামীর সঙ্গে শুয়ে একের পর এক সিগারেট ফাঁকা করে দেওয়া, এমনকি শ্বশুর মশাইয়ের ঘর থেকেও সিগারেট চুরি করে খাওয়া সবটাই তার স্মৃতিতে তাজা। এবারে সব স্মৃতি আগলে রেখে সিগারেট ছাড়ার পালা। আদৌ সম্ভব হবে কি?