টিআরপি তালিকায় এগিয়ে থাকা নতুন প্রজন্মের নায়িকারা শেয়ার করলেন তাঁদের অনুভূতি
প্রতি বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয় টেলিভিশনের টিআরপি রেটিং চার্ট। 20 নম্বর সপ্তাহেও প্রথম স্থানে রয়েছে ‘মিঠাই’, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ‘অপরাজিতা অপু’, তৃতীয় স্থানে রয়েছে ‘যমুনা ঢাকী’। দর্শকদের মধ্যে যথেষ্ট জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন ‘মিঠাই’ সৌমিতৃষা কুণ্ডু (soumitrisha kundu), ‘অপরাজিতা অপু’ সুস্মিতা দে (Susmita dey), ‘যমুনা ঢাকী’ শ্বেতা ভট্টাচার্য (sweta bhattacharya)।
দুই মাসের বেশি সময় ধরে এক নম্বর স্থানে থাকা ‘মিঠাই’ সৌমিতৃষা জানালেন, শুটিং ইউনিটের প্রত্যেক সদস্য পরিশ্রম করে ‘মিঠাই’-কে আজ এই জায়গায় নিয়ে এসেছেন। ‘মিঠাই’ যখন লঞ্চ হয় তখন বিপরীতে ছিল ‘মোহর’ -এর মতো হিট ধারাবাহিক। সৌমিতৃষার সামনে ছিল একই স্লটে সেরা হওয়ার লক্ষ্য। ফলে তিনি শুধু মন দিয়ে কাজ করেছেন। বাকিটা ছেড়ে দিয়েছেন ভগবানের হাতে। সৌমিতৃষা চান, কোনোদিন যদি ‘মিঠাই’ দুই বা তিন নম্বরে চলে আসে, তাতেও দর্শকদের ভালোবাসা যেন না কমে।
‘অপরাজিতা অপু’ সুস্মিতার প্রথম ধারাবাহিক এটি। ইলেক্ট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ার সুস্মিতা বরাবর অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। ধারাবাহিকে লিড রোল করা সত্ত্বেও এখনও সুস্মিতা সংলাপ ভুলে গেলে পরিচালক তা ধরিয়ে দেন। প্রযোজক-পরিচালকদের থেকে অনেক কিছুই শিখেছেন বলে জানিয়েছেন সুস্মিতা। তবে পার্টিতে যেতে পছন্দ করেন না সুস্মিতা। তিনি বাড়িতে মায়ের সঙ্গেই বেশি সময় কাটান। সুস্মিতা জানিয়েছেন, ভালো কাজ পাওয়ার জন্য টলিউডে সকলের সঙ্গে পরিচয় করার প্রয়োজন নেই তাঁর। দর্শক তাঁকে কতটা ভালোবাসছেন, সেটাই তাঁর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়।
‘যমুনা ঢাকী’ শ্বেতা এর আগে হিন্দি ধারাবাহিকেও অভিনয় করেছেন। ‘যমুনা ঢাকী’-র মাধ্যমে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা শ্বেতাও পার্টিতে যাওয়া, সুরাপান এড়িয়ে চলেন। তিনি জানিয়েছেন, বাবা-মা তাঁকে অনেক কষ্ট করে বড় করেছেন। একসময় নুন-ভাত খেয়েও কাটাতে হয়েছে তাঁদের। তাই আজ অর্থ উপার্জন করে বাবা-মাকে ভালো রাখতে চান শ্বেতা। অনায়াসেই বোঝা যাচ্ছে, টলিপাড়ায় আবির্ভাব হয়েছে নতুন প্রজন্মের নায়িকাদের যাঁরা পার্টি অ্যানিম্যাল প্রযোজক-পরিচালকদের থেকে বেশি গুরুত্ব দেন দর্শককুলকে।