Bengali SerialHoop Plus

গায়ের রঙের নিয়ে প্রতিনিয়ত কুরুচিকর আক্রমণ, উপযুক্ত ব্যবস্থা নিলেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস

গায়ের রঙের জন্য বারবার ট্রোল হতে হচ্ছে স্টার জলসার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘দেশের মাটি’-র অভিনেত্রী শ্রুতি দাস (Shruti Das)-কে। এবার তিনি আইনের দ্বারস্থ হলেন। অনলাইন অ্যাবিউজ-এর বিরুদ্ধে এদিন পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন শ্রুতি।

সংবাদমাধ্যমে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে শ্রুতি বলেন, নেটিজেনদের একাংশ মনে করছেন, পায়েল দে (payel dey) বা রুকমা রায় (Rukma ray)-এর মতো অভিনেত্রীরা থাকতে শ্রুতিকে নায়িকা হিসাবে কাস্ট করা অর্থহীন। কিছুদিন আগেই উপমা নামে এক নেটনাগরিক বলেছিলেন রুকমার মতো সুন্দরী অভিনেত্রী থাকতে শ্রুতিকে অযথা প্রাধান্য দিয়ে ‘দেশের মাটি’ সিরিয়ালটিকে উচ্ছন্নে পাঠানো হচ্ছে। শ্রুতিও মজাদার ঢঙেই উপমার কথার উত্তর দিয়েছিলেন। কিন্তু এবার যা ঘটেছে যা সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই কারণে আইনের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছেন শ্রুতি।

শ্রুতি জানিয়েছেন, সম্প্রতি নেটিজেনদের একাংশ তাঁকে ব্ল্যাকবোর্ড বলে ডাকা শুরু করেছেন। অনেকে কটাক্ষ করে বলেছেন, স্বর্ণেন্দু (swarnendu samaddar)-এর সঙ্গে সম্পর্কের কারণে কাজ পাচ্ছেন শ্রুতি। এমনকি শ্রুতির চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন অনেকে। শ্রুতি জানিয়েছেন, বারবার গায়ের রঙ নিয়ে ট্রোলড হতে হতে একজন মানুষ হিসাবে তিনিও আর সহ্য করতে পারছেন না। ফলে তিনি আইনি পথে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

2019 সাল থেকে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছেন শ্রুতি। ‘ত্রিনয়ণী’ শুরু হওয়ার ছয় মাস পর স্বর্ণেন্দুর সঙ্গে শ্রুতির সম্পর্কের সূত্রপাত হয়। ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ শুরুর দিন থেকেই বারবার গায়ের রঙ নিয়ে কটাক্ষ শুনতে হয়েছে শ্রুতিকে। এমনকি একদল নেটিজেন ‘দেশের মাটি’ -তে শ্রুতিকে সরিয়ে রুকমাকে নায়িকা করার দাবি জানিয়েছিলেন। ‘দেশের মাটি’ সিরিয়ালে নোয়ার ভূমিকায় শ্রুতির অভিনয় যথেষ্ট সুন্দর। অপরদিকে একই সিরিয়ালে মাম্পির ভূমিকায় অভিনয় করছেন রুকমা। তবে শ্রুতির ঘটনা সমাজ ও ইন্ডাস্ট্রির এক কদর্য সত্যকে আবারও সামনে এনে দিল যেখানে গায়ের রঙের উপর নির্ভর করে নায়িকা বাছা হয়। যাঁরা শ্রুতিকে তাঁর গায়ের রঙ নিয়ে এভাবে অপমান করছেন, দিনের শেষে মা কালীর মূর্তির সামনে হাত জোড় করে সাফল্য প্রার্থনা করতে তাঁদের লজ্জা করবে না তো!

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Shruti Das (@shrutidas_real)

Related Articles