সম্প্রতি আমির খান (Amir khan) ও কিরণ রাও (kiran Rao) মিডিয়াতে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন তাঁদের ডিভোর্সের কথা। ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের খবর, ফতিমা সানা শেখ (Fatima sana sheikh )-এর সঙ্গে সম্পর্কের কারণেই আমির ও কিরণের বিচ্ছেদ হয়েছে। তবে এর আগেও আমির একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন।
আমিরের প্রথম গার্লফ্রেন্ড ছিলেন তাঁর প্রথম স্ত্রী রীনা (Rina Dutta)। রীনার সঙ্গে আমিরের বন্ধুত্ব ছিল শৈশব থেকেই। তাঁরা প্রতিবেশী ছিলেন। রীনার জন্য একই কলেজে অ্যাডমিশন নিয়েছিলেন আমির। আমির প্রথমবার রীনাকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে রীনা জানিয়েছিলেন, তাঁরা শুধুমাত্র বন্ধু। কিন্তু পরবর্তীকালে রীনাও আমিরের প্রেমে পড়ে যান। 1986 সালে আমির ও রীনার বিয়ে হয়। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে, জুনেইদ (zunaid) ও ইরা (ira)।
কিন্তু আমিরের নারীসক্তির সঙ্গে অনেকেই পরিচিত। তবে পূজা ভাট (Puja bhatt) -এর সঙ্গে ‘দিল হ্যায় কি মানতা নেহি’ এবং ‘দিল চাহতা হ্যায়’-এর সময় প্রীতি জিন্টা (prity zinta)-এর সঙ্গে আমিরের সম্পর্কের রটনা ছিল নেহাতই গুজব। এমনকি ‘গুলাম’ ফিল্মের শুটিংয়ের সময় রানী মুখার্জী (Rani mukherjee)-র সঙ্গেও আমিরের সম্পর্কের গুঞ্জন রটেছিল।
তবে ‘গুলাম’-এর শুটিং করতে গিয়ে আমির ব্রিটিশ সাংবাদিক জেসিকা হাইনস (Jessica hines)- এর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন আমির। এই সম্পর্কের জেরে গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলেন জেসিকা। এরপর জেসিকা একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। আপাতত জেসিকা নিজে একাই তাঁর সন্তানকে বড় করে তুলছেন। আমিরের সঙ্গে তাঁর আর কোনো সম্পর্ক নেই।
জেসিকা হাইনস-এর ঘটনা যখন সামনে আসে, তখন আমির ওকিরণের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। রীনা দত্ত প্রযোজিত ফিল্ম ‘লগন’-এর শুটিংয়ের সময় আমির ও কিরণের প্রেমের সূত্রপাত হয়। ‘লগন’-এর নায়ক ছিলেন আমির ও থার্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর ছিলেন কিরণ। ক্রমশ তাঁদের প্রেমকাহিনী রীনার কানেও আসে। ততদিনে আমির ও কিরণ লিভ-ইন করতে শুরু করেছেন। 2002 সালে রীনা ও আমিরের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। জুনেইদ ও ইরাকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন রীনা। অপরদিকে কিরণকে বিয়ে করে নতুন সংসার পাতেন আমির।
কিন্তু এরপর কিরণ অন্তঃসত্ত্বা হলেও বারবার তাঁর মিসক্যারেজ হয়ে যায়। ফলে ডিপ্রেশনের শিকার হয়েছিলেন কিরণ। এরপর সারোগেসির মাধ্যমে কিরণ ও আমিরের পুত্রসন্তান আজাদ (Azad Rao khan)—এর জন্ম হয়। এরপরেই কিরণের কানে আসে জেসিকা হাইনস-এর ঘটনা। কিন্তু কিরণ মুখ বুজে সহ্য করেছিলেন। এরপর যখন আমির ফতিমার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালেন, তখন কিরণ আর সহ্য না করতে পেরে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফতিমা আমিরের সঙ্গে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করলেও তাঁর কেরিয়ার তৈরি করে দিয়েছেন আমির। আমিরের সুপারিশেই একাধিক ফিল্মে কাজ পেয়েছেন ফতিমা। এমনকি আমিরের প্রোডাকশন হাউসের সঙ্গেও জড়িত রয়েছেন ফতিমা। ফতিমা ও আমিরকে একাধিক স্থানে একসঙ্গে দেখা গিয়েছে।