ঘরোয়া উপায়ে ফর্সা হওয়ার ১০টি টিপস শিখে নিন
ফর্সা হতে কার না ইচ্ছা করে। কিন্তু ঈশ্বর প্রদত্ত রংকে একেবারে পাল্টে ফেলা মুশকিল। আর ভারতবর্ষে জন্মগ্রহণ করে আমাদের আমেরিকানদের মত সাদা চামড়া তৈরি করাও একেবারে অবাস্তব। তবে রান্নাঘরে যদি কয়েকটা জিনিসের সাহায্য নিতে পারেন তাহলে আপনারই রং খানিকটা পরিবর্তন হতে পারে। নিজেকে রোজ আয়নার সামনে দেখে একটু ভালো লাগতে পারে। এর জন্য যখন দেখবেন কোনো টাকা-পয়সা খরচ হচ্ছে না তখন আরো ভালো লাগবে।
ঘরোয়া উপায়ে নিজের রঙ পরিষ্কার করার ১০টি টিপস জেনে নিন।
১) বেসন -»
প্রতিদিন স্নান করার আগে ১ টেবিল চামচ বেসন জলের মধ্যে গুলে নিয়ে যদি ভালো করে ত্বকের উপর ঘষে ঘষে লাগিয়ে স্নান করতে পারেন তাহলে ত্বক অনেক বেশি পরিষ্কার হয়।
উপকারিতা – বেসনের উপকারিতা বলে শেষ করার নয়। বহু আগে থেকেই বেসন রূপচর্চার জন্য ব্যবহৃত হয়ে আসছে। সাবানের পরিবর্তে অনায়াসে লাগাতে পারেন বেসন। বেসনের মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান শরীরের ওপরে হওয়া মরাকোষ, ময়লা, ধুলোবালি সহজে দূর করে দেয়।
২) চালের গুঁড়ো-»
সপ্তাহে তিন দিন বেসনের সঙ্গে চালের গুঁড়ো মিশিয়ে একটু জল দিয়ে যদি একটি মিশ্রণ বানিয়ে ভালো করে ঘষতে পারেন তাহলে স্ক্রাবের কাজ করে।
উপকারিতা – কোরিয়ানরা সবচেয়ে সুন্দরী হয়, এই সৌন্দর্যের রহস্য চাল। ত্বক এবং চুলের জন্যও তারা ব্যবহার করে থাকে চাল। চালের গুঁড়ো খুব ভালো প্রাকৃতিক স্ক্রাবারের কাজ করে, চালের গুঁড়ো ত্বককে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
৩) লেবুর রস -»
প্রতিদিন শুতে যাওয়ার আগে এক ফোঁটা লেবুর রস হাতের মধ্যে নিয়ে মুখে মাসাজ করে শুয়ে পড়ুন।
উপকারিতা – ত্বকের মধ্যে হওয়া সমস্ত কালো দাগ নিমেষে দূর করতে সাহায্য করে লেবুর রস।
৪) কলা -»
কলা খাওয়া যেমন স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো কলা মাখাও ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী। অর্ধেকটা পাকা কলা ভালো করে চটকে নিয়ে মুখের মধ্যে লাগিয়ে ভালো করে ম্যাসাজ করুন।
উপকারিতা – কলার মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক উপাদান ত্বক ফর্সা করতে কাজে লাগে।
৫) কফি-»
সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন যদি কফির ফেসপ্যাক লাগিয়ে মুখে কুড়ি মিনিট রেখে দেওয়ার পর ঠাণ্ডা জলে ধুয়ে ফেলতে পারেন তাহলে ত্বক অনেক বেশি পরিষ্কার হয়।
উপকারিতা – কফি খেতে যেমন সকলের ভালো লাগে তেমনই কফি পাউডার ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী।
৬) পাকা পেঁপে -»
সপ্তাহে তিন দিন পাকা পেঁপে ভালো করে চটকে নিয়ে মুখের মধ্যে ঘষে ঘষে লাগান।
উপকারিতা – পাকা পেঁপে ত্বককে পরিষ্কার এবং ত্বকের রঙ ফর্সা করতে সাহায্য করে। পাকা পেঁপে খেলেও ত্বক ভেতর থেকে টক্সিন মুক্ত হয়।
৭) গোলাপ জল -»
গরম জলের মধ্যে গোলাপের পাপড়ি ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে এই জল নিয়মিত মুখে দিলে মুখের ত্বক অনেক সুন্দর হয়।
উপকারিতা- নিয়মিত গোলাপজল মাখলে মুখ পরিষ্কার হওয়ার সাথে সাথে মুখের মধ্যে আলাদা জেল্লা দেখা যায়।
৮) টক দই -»
টক দই নিয়মিত খেতে পারলে এবং নিয়মিত মুখে মাখতে পারলে মুখের জেল্লা ফিরে যাবে মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে।
উপকারিতা – টক দইয়ের মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক অ্যাসিড মুখ পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
৯) কাঁচা দুধ-»
কাঁচা দুধ দিয়ে নিয়মিত সকাল-বিকাল মুখ পরিষ্কার করুন এতে ত্বক অনেক বেশি সুন্দর এবং জেল্লাদার হবে।
উপকারিতা – বহু যুগ আগে থেকেই কাঁচা দুধ রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তুলে করে অল্প অল্প ভিজিয়ে যদি মুখ গলাকার ভালো করে পরিষ্কার করতে পারেন তাহলে অনেক সুন্দর ত্বক হয়ে যাবে।
১০) গরম তেলের ম্যাসাজ -»
যেকোনো তেল কিছুটা নিয়ে হালকা গরম করে মুখের মধ্যে প্রায় ৫ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করুন।
উপকারিতা – নারকেল তেল ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।