ব্যাগ গুছিয়ে একেবারে গট গট করে হেঁটে শ্বশুর বাড়ি ছাড়ছে মিঠাই। অনেক তামাশা হল বিয়ে নিয়ে। একজন বিয়ে মানে না তো একজন অন্য করার সঙ্গে বিয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে, এর মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তি এসে বিয়েতে ভেংচি দিচ্ছে, এরকম নানান সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে মিঠাই। এবার আর না। দাদুর নাতির সঙ্গে কোনো ভাবেই থাকা যায় না।তাই। ব্যাগ গুছিয়ে জনাইয়ের উদ্দেশে যাত্রা করছে সে।
কিন্তু, যাবো বললেই তো আর যাওয়া যায় না। আটকে দিল সেই উচ্ছে বাবুই, যিনি কিনা বিয়েই মানেন না, অথচ ডিভোর্স পেপারে সাইন করতে দশবার ভাবে। এরকমই জটিল সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে মিঠাই আর সিদ্ধার্থের নতুন গল্প জমিয়ে এগিয়ে চলেছে। প্রায় সপ্তাহে বেঙ্গল টপার হচ্ছে মিঠাই। দাদুর কারসাজি যে দর্শকদের মনে ধরেছেন তা আর বুঝতে বাকি নেই।
সবে মাত্র আশীর্বাদে চন্দনের ফোঁটা মিঠাইয়ের কপালে দেবে দাদু, ওমনি সিদ্ধার্থ এসে দাদুর হাত আটকে দেয়। পরিস্কার বলে দেয়, আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী একটা বিয়ে থাকতে থাকতে আরেকটা বিয়ে করা যায় না। ব্যাস পুরো পরিবার জয় জগন্নাথ করতে করতে খুশ।শুধু খুশি হয়নি তোর্সা। সন্দেহ করে যে সিদ্ধার্থ বুঝি মিঠাইকে ভালোবাসে। সিদ্ধার্থ উত্তর না দিয়ে চুপ করে থাকে। এদিকে মিঠাই অবাক।
এর মধ্যে আবার সিদ্ধার্থ নাকি পুরো পরিবারের সামনে কথা দিয়েছে যে মিঠাইয়ের সঙ্গে এক ঘরে থাকবে এক মাস, তারপর সিদ্ধান্ত নেবে সিদ্ধার্থ। দাদু আর গোটা মিষ্টি পরিবার বেজায় খুশি সিদ্ধার্থের এমন পরিবর্তনে। কিন্তু, মিঠাইয়ের অনেকটা অভিমান। এবার সে জনাই চলে যাবে। রোজ রোজ বিয়ে নিয়ে এই তামাশা তার আর সহ্য হচ্ছে না। বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না। যদিও সিদ্ধার্থ ও তার পরিবার মিঠাইয়ের জনাই যাওয়া আটকে দেবে। কারণ তা না হলে মিঠাই সিদ্ধার্থের ফুল শয্যা হবে কি করে? খুব শিগগিরই দেখানো হবে মিঠাই সিদ্ধার্থের মজাদার ফুল শয্যার পর্ব, ইতিমধ্যে এর ট্রেলার দেখানো হয়ে গেছে। না দেখে থাকলে আরো একবার দেখে নিন।
View this post on Instagram
