Lifestyle: বর্ষায় দেওয়ালের ড্যাম্প দূর করার সাতটি টিপস
এক নাগাড়ে বৃষ্টি ক্রমাগত হয়েও চলেছে। এবছর এত বাড়াবাড়ি বৃষ্টি বোধ হয় গত ৫০ বছরে কলকাতা, কলকাতা সংলগ্ন এলাকার মানুষ দেখতে পায়নি। ক্রমাগত বিশ্ব উষ্ণায়নের যুগে বর্ষাকালে এমন বজ্রপাত সহ বৃষ্টিপাত ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। এই রকম পরিস্থিতিতে আপনি আপনার বসতবাড়ি থেকে কিভাবে একটু ঠিকঠাক করবেন তা ভেবে উঠতে পারছেননা।
নতুন যারা বাড়ি বানিয়েছেন অথবা যাদের পুরনো বাড়ি প্রত্যেকেরই এক অবস্থা দেওয়াল ভিজে গিয়ে ড্যাম্প ধরে যাচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আপনার ঘর বাড়ি। হাজার চেষ্টা করেও কিছুতেই বাড়ি কে সারাতে পারছেন না। এর ফলে আসবাবপত্র ক্রমশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। তাছাড়া ঘরের মধ্যে থাকা জামা কাপড়, দামী দামী বই সর্বস্ব শেষ হয়ে যাচ্ছে ড্যাম্প এর জন্য। এর হাত থেকে বাঁচতে কয়েকটা সহজ টিপস মাথায় রাখুন।
প্রথমতঃ প্রথমেই খেয়াল করতে হবে যেখানে জল দেখা যাচ্ছে বা যে দেওয়ালে ড্যাম্প হচ্ছে, সেখানে কোনভাবে লিক হচ্ছে কিনা সেই অংশটিকে প্রথমে রাজমিস্ত্রি ডেকে সারিয়ে নিতে হবে।
দ্বিতীয়তঃ অনেক সময় দেখা যায়, কোথাও লিক নেই শুধুমাত্র আলো-বাতাসের অভাবের জন্য দেওয়ালে ড্যাম্প ধরছে। তাই প্রতিটি ঘরের জানলা দরজা রোদ উঠলেই খুলে দিতে হবে। হাওয়া বাতাস খেললে ঘরের দেওয়াল তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে।
তৃতীয়তঃ রান্নাঘরে অনেক সময় ড্যাম্প এর এর এক অন্যতম কারণ হতে পারে রান্নাঘরে ব্যবহার করা চিমনি। সারাক্ষণ চিমনি ব্যবহার করলে দেওয়ালে তেলচিটে ময়লা পড়ে যায় আর এখানেই দেওয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
চতুর্থতঃ সারাক্ষণ বন্ধ ঘরের মধ্যে এসি চলে অনেক সময় ড্যাম্প হয়ে যেতে পারে। তাই সারাক্ষণ এসি না চালিয়ে এসি চালানোর একটা নির্দিষ্ট সময় করুন।
পঞ্চমতঃ বৃষ্টি হয়ে যাওয়ার পরেই বাড়ির সমস্ত ফার্নিচারকে একবার করে ভ্যাকুয়াম করে নিন। যদি তা সম্ভব না হয় যখন রোদ উঠবে কাঠের ফার্নিচার রাখুন। যদি সম্ভব হয় তাহলে রোদের মধ্যে একটু রেখে দিন মোটকথা ফার্নিচার কে শুকনো রাখতে হবে।
ষষ্ঠতঃ দেওয়ালে ড্যাম্প এর পাশাপাশি অনেক সময় ফাংগাল গ্রোথ হয়ে যায়, তাই সাবান জলে ডুবিয়ে ফাঙ্গাস গুলোকে ভালো করে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
সপ্তমতঃ যদি ভালো পিউরিফায়ার কিনতে পারেন তাহলে অনেক সুবিধা হবে। এই পিউরিফায়ার শুদ্ধ বাতাসকে আপনার ঘরের মধ্যে প্রবেশ করতেই সাহায্য করবে এবং এটিই ফাঙ্গাস কেউ আপনার ঘর থেকে দূর করে দেবে।