সম্প্রতি কুড়ি কোটি টাকার আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গরীবের ‘মসীহা’ সোনু সুদ (Sonu Sood)-এর বিরুদ্ধে। এমনকি তাঁর বাড়ি ও অফিসে আয়কর দফতরের অফিসাররা তল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন। এই তল্লাশি অভিযান প্রায় তিন দিন ধরে চলেছে। এবার সেই তল্লাশি অভিযান নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুলেছেন সোনু।
সোনু লিখেছেন, সমস্ত দেশবাসীর আশীর্বাদ সঙ্গে থাকলে কঠিন পথে হাঁটাও সহজ হয়ে যায়। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর প্রতিটি অর্থ মানবসেবার কাজে খরচ হয়েছে। তিনি মনে করেন, নিজের কথা সবসময় নিজের মুখে বলার প্রয়োজন পড়ে না। কারণ সময় সবকিছুর উত্তর দিয়ে দেয়। সোনু সমস্ত শক্তি ও হৃদয় দিয়ে দেশবাসীর পাশে থাকার চেষ্টা করেছেন। সোনু জানিয়েছেন, তাঁর ফাউন্ডেশনের সমস্ত অর্থ কোনও না কোনও আর্তের সাহায্যের জন্য খরচ হয়েছে। তিনি অনেক ব্র্যান্ডকেও অনুরোধ করেছেন, তাঁর এনডোর্সমেন্ট ফি যেন সমাজসেবামূলক কাজে খরচ করা হয়।
আয়কর হানার বিষয় সোনুর যথেষ্ট মর্যাদা হানি ঘটিয়েছে। ফলে তিনি এই বিষয়টিকে কটাক্ষ করে জানিয়েছেন, গত চার দিন ধরে তিনি অতিথিদের সঙ্গে ব্যস্ত ছিলেন। ফলে মানুষের সেবা করতে পারেননি। তিনি আবারও ফিরে এসেছেন জনসেবায়, মানুষের প্রাণ বাঁচাতে নিজেকে উৎসর্গ করার জন্য। ইতিমধ্যেই সোনুর বাড়িতে আয়কর হানা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক বিতর্ক। তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছে আম আদমি পার্টি।
গত বছর করোনার সময় থেকেই সোনু জনসেবার কাজ করে চলেছেন। তিনি পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর ব্যবস্থা করেছিলেন। আশঙ্কাজনক করোনা রোগীকে বাঁচাতে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের মাধ্যমে তাঁকে চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করেছিলেন সোনু। চলতি বছরে একটি হাসপাতালে হঠাৎই অক্সিজেনের সঙ্কট দেখা দেওয়ায় সোনুর টিম চটজলদি অক্সিজেনের ব্যবস্থা করে রোগীদের প্রাণ বাঁচিয়েছিল। এমনকি বহু ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিনামূল্যে পড়াশোনার ব্যবস্থা করেছেন সোনু। একাধিক শিশুর হার্ট অপারেশনের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। অথচ প্রত্যেক বার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়ে যে কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লির মসনদে আসীন হন, তাঁদের কর্তব্য ছিল এই উদ্যোগ নেওয়া। তাঁরা সেই কাজে ব্যর্থ। অথচ সোনু এতদিন কোনো রাজনৈতিক দলের সমর্থন না পেলেও নিজের মতো কাজ করে চলেছেন। সোনুর মানবসেবার উদ্যোগকে থামানোর জন্য কি তাঁর বিরুদ্ধে আয়কর ফাঁকি দেওয়ার মতো কোনো পরিকল্পিত অভিযোগ তোলা হচ্ছে, এটাও কিন্তু ভাবার বিষয়।