যাদবপুররের তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বিপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় প্রায়শই। গতবছর আমফানের সময় তিনি তাঁর কেন্দ্রের বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়িয়েছিল। সেখানকার প্রান্তিক মানুষদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি। ইয়াশের পরও তিনি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। আবারও এই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটল। রবিবার রাত থেকে অবিরাম বৃষ্টির ফলে দক্ষিণ 24 পরগনার ভাঙ্গড় বিধানসভার কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন। সেই এলাকা পরিদর্শনের জন্য সোমবার বিকেলে সেই স্থলে উপস্থিত হন মিমি। সেখানে তিনি স্থানীয় মানুষদের সাথে কথা বলে তাদের সমস্যা সম্পর্কে জানেন এবং তাদের হাতে কিছু খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন।
তিনি প্রথমে পৌঁছন জলবন্দি ভাঙ্গড়ের ভোজেরহাট এলাকায়। বহু বিপন্ন মানুষের হাতে শুকনো খাবার এবং ত্রিপল তুলে দেন তিনি। এই দুর্যোগের দিনে প্রায় ৬০০ পরিবারকে ত্রিপল দান করেন তিনি। এরপর তিনি ভোজেরহাট থেকে রওনা হয়ে প্রাণগঞ্জ পঞ্চায়েতের মরিচা গ্রামে পৌঁছন। ভাঙ্গড় এক নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি কাইজার আহমেদ এবং সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি আহেদালী শেখও তার সঙ্গে যান। তৃণমূল সাংসদ বিপন্ন মানুষের কাছে পৌঁছাতে জুতো হাতে নিয়ে, কাদার উপর দিয়ে হাঁটতেও দ্বিধাবোধ করেননি। দীর্ঘ জলমগ্ন রাস্তা পার করে তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছন।
মরিচার পর তিনি ব্যাওতা, নলমুড়ি, পাইকান এবং চড়িশ্বর এলাকাগুলিও ঘুরে দেখেন। সেখানকার মানুষদের সাক্ষাতের পর তিনি বলেন, ‘‘মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন এই খবর পেয়েই শুকনো খাবার এবং ত্রিপল নিয়ে ছুটে এসেছি।’’ ভাঙ্গড়ের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি তিনি সেখানকার নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতির বিষয়ে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। দ্রুত স্থায়ী নালা তৈরীর আশ্বাস দেন সেখানকার মানুষকে।
তৃণমূলের তারকা সাংসদ তালিকায় রয়েছেন আর একজন, অভিনেত্রী নুসরাত জাহান। সম্প্রতি তিনি মা হয়েছেন। পুত্র সন্তানের জন্ম দেওয়ার পর সদ্যোজাতকে নিয়ে ব্যস্ত বসিরহাটের এই তৃণমূল সাংসদ।
View this post on Instagram