Hoop Life

রোজকার খাবারে রাখুন ডুমুর, দূরে থাকবে এই দশটি শারীরিক রোগ

ডুমুর বা ফিগের (Fig) প্রচুর খাদ্যগুণ রয়েছে। মরশুমি ফল হলেও শুকনো বা ড্রায়েড ডুমুর সব ঋতুতেই পাওয়া যায়। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি১, ভিটামিন-বি২, এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের খনিজ লবণ যেমন – ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, ইত্যাদি। এছাড়া এতে প্রচুর পরিমাণে তন্তুজাতীয় উপাদান রয়েছে। জেনে নেওয়া যাক ডুমুরের গুণাবলী।

১. ডুমুরে ফাইবার থাকে যা পাকস্থলীতে অনেকক্ষণ ধরে স্থিত থাকে। এতে থাকা ক্যালরির পরিমাণ খুবই কম। পাশাপাশি এতে থাকা উৎসেচক ফায়াসিন পরিপাক ক্রিয়ার উন্নতি সাধন করে।

২. এতে ক্যালসিয়াম থাকে যা হাড় শক্তিশালী করে ও হাড়ের গঠন মজবুত করে। এতে থাকা পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে অন্যতম ভূমিকা পালন করে।

৩. ডুমুর আয়রনসমৃদ্ধ। শরীরে আয়রনের ঘাটতি মেটাতে এবং রক্তাল্পতা দূর করতে সাহায্য করে ডুমুর।

৪. শরীরের বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে এতে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। পাশাপাশি এই উপাদান হৃদরোগের আশঙ্কাও লাঘব করে।

৫. ডুমুরের অন্যতম পুষ্টি উপাদান ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি এবং খনিজ লবণ। এগুলি শরীরের বিপাকীয় হার ত্বরান্বিত করে।

৬. ডুমুরে থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকেও দূরীভূত করে। এছাড়া ডায়রিয়া বা কোনরকম পেটের রোগ হতে দেয় না এই ফল।

৭. ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা শরীরের জমে থাকা ফ্রিরেডিকেল বের করে দেয় এবং রক্তবাহগুলিকে ক্ষতের হাত থেকে রক্ষা করে। পাশাপাশি হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা সুষ্ঠুভাবে বজায় রাখে।

৮. ওবেসিটি থাকা রোগীদের ডুমুর খাওয়া উপকারী। শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ কমায় এটি। অতিরিক্ত ওজন হ্রাস করে ওবেসিটি নিয়ন্ত্রনে সহায়তা করে।

৯. ডুমুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট টক্সিন দূরীভূত করে ত্বকের বর্ণ উজ্জ্বল করতে সহায়তা করে। বিভিন্ন রকমের স্কিন ইনফেকশন এবং স্কিন ডিজিজের হাত থেকে রক্ষা করে এটি। ত্বকের পাশাপাশি চুলের বৃদ্ধি, চুলকে মজবুত করা এবং চুল পড়ার হাত থেকে রক্ষা করে।

১০. ব্রেস্ট ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমায় এই ফল। ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার পরবর্তীকালে হরমোনের অসামঞ্জস্যতার কারণে মহিলাদের ব্রেস্ট ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এই সমস্যায় ডুমুর ভীষণ উপকারী।

তবে এর পাশাপাশি একটা বিষয় সবসময় খেয়াল রাখতে হবে। ডুমুর কখনোই অনেকগুলি একসাথে খেয়ে ফেলা উচিত নয়। কারণ এটি একটি মিষ্টি ফল। এর ফলে শরীরে অনেক রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।

Related Articles