গত বছর পুজোয় সবেমাত্র নতুন বাবা হওয়ার দায়িত্বভার সামলেছিলেন। এই বছর পুজোর আগে এক বছরের পুত্রসন্তান ইউভান (Yuvaan) ও স্ত্রী শুভশ্রী গাঙ্গুলী (Subhasree Ganguly) রাজ চক্রবর্তী (Raj Chakraborty) পাড়ি দিয়েছিলেন মালদ্বীপ। কিন্তু দুর্গোৎসব বাঙালি তথা ভারতীয়দের একটি অত্যন্ত নস্টালজিক ও জনপ্রিয় উৎসব। চলতি বছরের পুজোয় রাজ ব্যারাকপুরের বিধায়ক হিসাবে কয়েকটি মন্ডপ উদ্বোধন করবেন। ব্যারাকপুরের বাসিন্দাদের সঙ্গেও কিছুটা সময় কাটাতে চান তিনি।
গত বছর করোনায় পিতৃহারা হয়েছেন রাজ। ফলে দুর্গাপুজো এলেই মন খারাপ হয়। কিন্তু তবু তিনি প্রার্থনা করেন, সকলের রোগ-ব্যাধি যেন দূর হয়ে যায়। পুজোতে খুব একটা বাইরে বেরোবেন না রাজ। আরবানার পুজোতেই সময় কাটাবেন। অষ্টমীর দিন সপরিবারে অঞ্জলি দেবেন। পুজোর চারটে দিন বাড়িতে ‘নো ডায়েট’। ফলে সকালের জলখাবার হবে লুচি ও ছোলার ডাল। নবমীর দিন মাংস মাস্ট। তবে পুজোর জন্য রাজ নিজের আলাদা কোনো পোশাক না কিনলেও শুভশ্রী প্রতি বছর তাঁকে একটি করে পাঞ্জাবি উপহার দেন। সেই পাঞ্জাবি পরে অষ্টমীর দিন অঞ্জলি দেন রাজ। তবে শুভশ্রীও কিছু নিতে চান না।
তাই প্রতি বছর রাজ নিজেই পছন্দ করে একটি শাড়ি কিনে দেন শুভশ্রীকে। কিন্তু এই বছর শাড়িটা এখনও কেনা হয়ে ওঠেনি। ইউভানের বেশ কয়েকটি জামা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ইউভানকে একটি জামা উপহার দিয়েছেন। এছাড়াও পুজোর চারটে দিন বাড়িতেই জমিয়ে আড্ডা হবে।
চারিদিকে পুজোর হোর্ডিং-এর মধ্যেও করোনা আবহে রয়েছে বিষণ্নতা। তবু রাজ সবাইকে অনুরোধ করেছেন, করোনা বিধি মেনে আনন্দে মেতে উঠতে। মা আসছেন একরাশ আশার আলো নিয়ে। আবাহন হোক শক্তির। মুছে যাক অন্ধকার।
View this post on Instagram