Raja Goswami: রাজবাড়ির অন্ধকার ঘরের কোণে একটা ছায়া, বাচ্চাটা কে! আজও জানেন না রাজা
এগিয়ে আসছে ভূত চতুর্দশী। বাতাসে হিমেল পরশ। কুয়াশার চাদরে মুখ ঢাকছে রাত। অনেক সময় মধ্যরাতের জমাট বাঁধা কুয়াশার দিকে তাকিয়ে মনে হয়, কে ও? কিন্তু সত্যিই এমন ভূতুড়ে অভিজ্ঞতা হয়েছিল অভিনেতা রাজা গোস্বামী (Raja Goswami)-র।
‘কোজাগরী’-র শুটিং চলছিল বারুইপুর রাজবাড়িতে। এই রাজবাড়িটি নিয়ে মাঝে সাঝে অনেক কথাই শোনা যায়। কিন্তু লোকের কথা মেনে শুটিং আর কবে হয়েছে! রাজবাড়ির ফটক পেরিয়ে পিছন দিকে ছিল পরপর কয়েকটা ঘর। সেখানেই অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মেকআপ রুম ও বিশ্রামের জন্য ঘর নেওয়া হয়েছিল। রাজবাড়ির সেই চত্বরেই একটি ফাঁকা বাড়ি ছিল। রাজা শুনেছিলেন, সেখানে নাকি ভূত দেখা যায়। ফলে অচিরেই ‘ঘোস্ট হান্টার’ হওয়ার ইচ্ছা পেয়ে বসল তাঁকে। ফলে বাড়ির বাইরে একজনকে দাঁড় করিয়ে ভিতরে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি।
সিঁড়ি দিয়ে উঠে এক-একটা ল্যান্ডিং-এ ছোট জানলা ছিল। প্রথম জানলা দিয়ে মুখ বাড়িয়ে বন্ধুর সঙ্গে কথা বলেন রাজা। বন্ধু তাঁকে সিঁড়ি দিয়ে সাবধানে উঠতে বলেন। রাজা জানান, বেশ পরিষ্কার ও শক্তপোক্ত সিঁড়ি। ফলে ভেঙে পড়ার ভয় নেই। দোতলা পেরিয়ে উঠতেই ঘুটঘুটে অন্ধকার। অন্ধকারেই কোনো মতে চোখ সইয়ে একটি করিডরে ঢোকেন রাজা। তাঁর চোখে পড়ল একটা আধখোলা দরজা। উল্টো দিকে একটা ছোট জানলা দিয়ে অল্প আলো আসছিল। আধো আলোয় দরজার ফাঁক দিয়ে রাজার চোখে পড়ল একটা সেকেলে, নকশা করা পালঙ্ক। রাজার মনে হল, সবকিছুই গুজব। কোনো ভুত নেই। কিন্তু সবে নিচে নামার জন্য এগিয়ে আসতে যাবেন, চোখে পড়ল, খোলা দরজার ফাঁকে, অন্ধকার ঘরের কোণে একটা ছায়া। ভালো করে দেখে, রাজার মনে হয়েছিল একটি বাচ্চা দাঁড়িয়ে আছে। যেন তাঁর দিকেই মুখ করে। অন্তত বাচ্চার অস্পষ্ট কান দুটো দেখে তাই মনে হচ্ছিল। রাজার মনে হয়েছিল, এই জনমানবশূন্য বাড়িতে বাচ্চা আসবে কোথা থেকে!
শৈশবে মা-ঠাকুমার কাছে শুনেছিলেন, ভূতদের দিকে পিছন ফিরতে নেই। ভয় পেয়েছিলেন রাজা। তাই ধীরে ধীরে পিছনে সরে তাড়াতাড়ি নিচে নেমে গিয়েছিলেন। সেটে ফিরে কাউকে কিছু না বললেও পরে একই সিরিয়ালের অভিনেত্রী অপরাজিতা ঘোষ দাশ (Aparajita Ghosh Das) বলেছিলেন, তাঁর আগের এক ধারাবাহিকের শুটিং এই রাজবাড়িতে করতে এসে শুনেছিলেন, ওই ফাঁকা বাড়িতে বাচ্চা ভুত আছে। পরে শুটিংয়ের অন্য কলাকূশলীদেরও ভুত নিয়ে আলোচনা করতে শুনতে পেয়েছিলেন রাজা। কিন্তু এখনও অবধি তিনি জানতে পারেননি, তাঁদের ইউনিটের অন্য কেউ কিছু দেখেছিলেন কিনা!
View this post on Instagram