এর আগে অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় (Abhishek Chatterjee) বলেছিলেন, তিনি বাংলা সিরিয়াল দেখেন না। কিন্তু এবার সামনে এল এক নতুন তথ্য। কয়েক মাস আগে একটি সাক্ষাৎকারে অভিষেক বাংলা ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই-কে বললেন ‘পর্ন’।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বহু পুরানো সাক্ষাৎকারও ভাইরাল হয়। কিন্তু এই ক্ষেত্রে এটি ছিল কয়েক মাস আগের সাক্ষাৎকার। এই সাক্ষাৎকারে অভিষেক জানিয়েছেন, তিনি মাঝে-সাঝে হইচই দেখেন। কিন্তু হইচই-এর কন্টেন্ট এত খারাপ যাকে অনায়াসেই পর্ন বলা যেতে পারে। বাড়িতে কখনও হইচই না চালালেও স্টুডিওতে শুটের ফাঁকে এই ওটিটির ভালো কন্টেন্টগুলি দেখার চেষ্টা করেন তিনি। অভিষেকের এই সাক্ষাৎকারটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
প্রকৃতপক্ষে, হইচই-এর কন্টেন্ট অ্যাডাল্ট। কিন্তু তাকে পর্নের সঙ্গে তুলনা করায় অনেকেই অভিষেকের বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। তবে অভিষেকের সমর্থনে কথা বলেছেন এক দল। তাঁদের মতে, হইচই কিছু পয়সা কামানোর জন্য এমন জিনিস দেখায় যা সমাজের জন্য আদর্শ নয়। অত্যন্ত গালাগালির ব্যবহার করা হয় হইচই-এর কন্টেন্টে। তবে অভিষেকই শুধু নন, এর আগে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী (Nawazuddin Siddiqi), রাজপাল যাদব (Rajpal Yadav)ওটিটির অযাচিত যৌন দৃশ্য নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন।
অভিষেক, রাজপাল বা নওয়াজউদ্দিনরাও চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের দৃশ্যে অভিনয় করেছেন। তাঁদের মুখেও শোনা গিয়েছে গালাগালি। কিন্তু সবটাই ছিল চিত্রনাট্য আরোপিত। ইদানিংকালে ওটিটির যুগে বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম রয়েছে। কিন্তু এর আগেও আমজনতা হইচই-এর কন্টেন্ট নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন। হইচই-এর প্রথম দিকে মনে হয়েছিল, হয়তো কন্টেন্ট গ্রহণ করার ক্ষেত্রে কোথাও জেনারেশন গ্যাপ দেখা দিচ্ছে। কিন্তু আদতে দেখা যাচ্ছে, হইচই-এর এতগুলি বছর পরেও অধিকাংশ কন্টেন্ট গতে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক সূত্রে জানা গেছে, টেলিভিশন নেটওয়ার্কের মতো ওটিটির জন্য প্রণয়ন হতে পারে নতুন আইন। সেক্ষেত্রে হয়তো হইচই-এর কন্টেন্টেও পরিবর্তন আসতে পারে।
View this post on Instagram