Jagadhatri Puja 2021: দুর্গাপুজো না করতে পারার শোক ভুলতেই জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন, জানুন অজানা কাহিনী
১০ ই নভেম্বর হল ছট পুজো। হিন্দু বর্ষপঞ্জীর কার্তিক মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠী তিথিতে এই পুজো উদযাপিত হয়। সূর্য দেবের উদ্দেশ্যে ব্রত রাখা হয়, নির্জলা উপোষ থেকে বাড়ির বউরা মেয়েরা এই পুজো করেন। ভারতের বিহার, ঝাড়খণ্ড, পূর্ব উত্তরপ্রদেশ এবং নেপালের তরাই অঞ্চলে এই ছট পুজোর অনুষ্ঠান দেখা যায়। সেরকমই হল জগদ্ধাত্রী পুজো। এই পুজো আজ বাংলায় ছড়িয়ে গেলেও নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় আগে পুজো হতো। দুর্গা পুজো যেমন সর্বত্র অলিতে গলিতে হয়, এটি তেমন নয়, যদিও দুর্গা ও জগদ্ধাত্রী একই মাতা। এই সিংহ বাহিনী চতুর্ভুজা দেবীর হাতে থাকে শঙ্খ, চক্র, ধনুক ও বাণ।
আনুমানিক প্রায় আড়াইশো বছর আগে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র তার কৃষ্ণনগরের রাজবাড়ীতে এই পুজো প্রথম শুরু করেন। এরপর, কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির পূজা দেখে মুগ্ধ হয়ে ইন্দ্রনারায়ণ চন্দননগরের লক্ষ্মীগঞ্জ চাউলপট্টির নিচুপাটিতে জগদ্ধাত্রী পূজার প্রচলন করেন।
এখন চন্দননগর যদি যান তবে দুর্গাপুজোর মতন সাজো সাজো রব। চারিদিকে প্যান্ডেল, লাইটিং, ইয়া বড় প্রতিমা, দর্শনার্থীদের লম্বা লাইন, ভিড়, খাবারের স্টল, একেবারে জমজমাট। ওই চন্দননগর এলাকা তখন দ্বিতীয় কলকাতা হয়ে ওঠে। এই বছর জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হচ্ছে ১২ ই নভেম্বর শুক্রবার।
আমরা রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের কথা হয়তো জানি, কিন্তু জানেন কি এই দেবীর আরাধনা তারও আগে থেকে হয়ে আসছে। আপনারা হয়তো জানলে অবাক হবেন পূর্ব বঙ্গের বরিশালে খ্রিস্টীয় অষ্টম শতকে নির্মিত জগদ্ধাত্রীর একটি প্রস্তর মূর্তি পাওয়া যায়। ওই মূর্তিটি এখনও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশুতোষ সংগ্রহলায়ে রাখা রয়েছে।
পুরাণ মতে সত্বগুণধারিনি সমর্থ হবেন জগদ্ধাত্রী পুজোয়, অর্থাৎ কেবল ব্রাহ্মণরা করতে পারবেন এই পুজো, দুর্গা পুজো করতে পারবেন রজোগুণধারিনী অর্থাৎ ক্ষত্রিয়রা, এবং যারা তমোগুণধারিনী তারা করবেন কালীপুজো। অবশেষে বণিক সম্প্রদায় পরে দুর্গাপুজোর বিকল্প রূপে জগদ্ধাত্রী পুজোর ভার নেয়।