চলতি বছরের একুশের নির্বাচনের সময় আচমকা বিজেপি পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় (Srabanti Chatterjee)। যেখানে তার সতীর্থরা এবং বন্ধুরা ঝাঁক বেঁধে তৃণমূলের সৈনিক হলেন সেখানে তিনি ব্যতিক্রমী পথ বেছে নেন। এরপর আসে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ যখন শ্রাবন্তী হেরে যান বেহালা পশ্চিম কেন্দ্র থেকে। তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে হেরে যাওয়ার পর বেশ কয়েকদিন ক্যামেরার মুখোমুখি হননি।
হটাৎ করে তিনি ক্যামেরার সামনে এলেন, ব্রাইডাল ফটোশ্যুট শুরু করলেন, বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে মামলা করলেন এবং অভিনয় ফিল্ডে প্রবেশ করলেন আগের মতন। এদিকে, গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ চলতি মাসের ১১ তারিখ শ্রাবন্তী দলত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিলেন। ওইদিন সকাল সকাল টুইটারে শ্রাবন্তী লেখেন, ‘বাংলার উন্নয়নের জন্য বিজেপি আন্তরিক নয়। বাংলার জন্য কাজ করার মনোভাবের অভাব রয়েছে তাদের।’
শ্রাবন্তীর জন্মদিনের দিনই সাধারণ মানুষ আভাস পেয়ে যান যে খুব শিগগিরি শ্রাবন্তী নিজেই বিজেপি ছাড়বেন এবং তৃণমূলে যোগ দিতে পারেন। যদিও তৃণমূলে এক্ষুনি আসছেন কিনা সেই খবর পাকা নয়, কিন্তু অনুব্রত মন্ডল এদিন শ্রাবন্তীর দলত্যাগের বিষয় নিয়ে মুখ খোলেন।
এদিন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) বিজেপি দলকে রীতিমত নোংরা আখ্যা দেন। বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতির কণ্ঠে উঠে আসে, ‘‘দলটা (বিজেপি) তো জঞ্জাল। ওই দলে থাকা মুশকিল। তার উপর শ্রাবন্তী মহিলা। তাঁর পক্ষে থাকাই সম্ভব নয়। নোংরা জায়গায় থাকা যায় না।” এরপর তিনি এও যোগ করে বলেন, ‘‘দেখেন না, কুকুরও নোংরা জায়গায় শোয় না। মানুষ কী করে থাকবে!’’