না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন কন্নড় সুপারস্টার পুনিত রাজকুমার (Puneeth Rajkumar)। মাত্র ছেচল্লিশ বছর বয়সে তাঁর অকালপ্রয়াণ এখনও মেনে নিতে পারেননি কর্ণাটকবাসী। সম্প্রতি একটি ভাইরাল হওয়া ভিডিও দিচ্ছে এই ঘটনার সাক্ষ্য।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে,কর্ণাটকের এক দরিদ্র বৃদ্ধা বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসের গায়ে পুনিত রাজকুমারের সাদা পোশাক পরা পোস্টার সযত্নে নিজের হাত দিয়ে মুছে দিচ্ছেন। তাঁর চোখে জল। মাঝে মাঝেই শাড়ির আঁচল দিয়ে নিজের চোখ মুছছেন তিনি। পুনিতকে ভোলা সম্ভব নয় কর্ণাটকবাসীর পক্ষে। সমাজের সর্বস্তরের উন্নতি সাধন তাঁর লক্ষ্য ছিল।
1800 ছাত্র-ছাত্রীর বিনামুল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করা ছাড়াও 45 টি অবৈতনিক বিদ্যালয় তৈরি করেছিলেন পুনিত। এছাড়াও 26 টি অনাথাশ্রম, 16 টি বৃদ্ধাশ্রম ও উনিশটি গোশালা তৈরি করেছেন তিনি। সমাজের সর্বস্তরে রেখে গিয়েছেন তাঁর অবদান। চলে যেতে যেতেও করে গেছেন তাঁর চক্ষুদান। স্টারডম ছেড়ে পুনিত অচিরেই মিশে গিয়েছিলেন সাধারণ মানুষের সাথে। তাঁর শেষকৃত্যে নেমেছিল মানুষের ঢল। পুনিতের বাবা কিংবদন্তী তারকা রাজকুমার (Rajkumar)-এর স্মৃতিসৌধের পাশেই তাঁকে চিরশান্তিতে সমাহিত করা হয়।
29 শে অক্টোবর সকালে জিমে ওয়ার্কআউট করার সময় পুনিত হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করেন। তৎক্ষণাৎ তাঁকে বেঙ্গালুরুর বিক্রম হসপিটালে ভর্তি করা হয়। হসপিটাল সূত্রে প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, হসপিটালের এমার্জেন্সি বিভাগে নিয়ে আসার সময় পুনিত অচেতন ছিলেন। চিকিৎসকের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাঁর শারীরিক অবস্থা ক্রমশ হাতের বাইরে বেরিয়ে যায়। দুপুর আড়াইটে নাগাদ প্রয়াত হন পুনিত। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুর খবর শুনে বিক্রম হসপিটালের বাইরে শোকস্তব্ধ হয়ে যান তাঁর অনুরাগীরা। সম্প্রতি কর্ণাটক সরকারের পক্ষ থেকে পুনিতকে মরণোত্তর ‘কর্ণাটক রত্ন’ সম্মান দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।
View this post on Instagram