বলিউডে অত্যন্ত জনপ্রিয় জুটিদের তালিকায় না থাকলেও একশন স্টার অক্ষয় কুমার ও অভিনেত্রী টুইঙ্কল খান্না বেশ সুখী জোড়ি। দুজনেই দুজনের প্রশংসা করে থাকেন। কিন্তু আমরা জানলে অবাক হব বলিউডে খিলাড়ির জনপ্রিয়তার মত প্রেমের জগতেও খিলাড়ি হিসেবে রীতিমত প্রখ্যাত অক্ষয়। আজ জানব অক্ষয়ের জীবনের প্রেম সম্পর্কের কথা।
ইন্ডাস্ট্রিতে আসার আগে অক্ষয় ডেটিং করতেন মডেলার পূজা বাত্রার সঙ্গে। শোনা যায় পূজা বাত্রার সূত্র ধরেই বলিউডে চেনাপরিচিতি হয় অক্ষয়ের। এরপর বলিউডে পা রাখার পর পূজার সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করে কেরিয়ার তৈরিতে মন দেন খিলাড়ি কুমার। এরপর ‘খিলাড়ি’ ছবি হিট হলে অভিনেত্রী আয়েশা জুলকার সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান অক্ষয়। তবে বছর দুয়েকের মধ্যে ভেঙে যায় এই সম্পর্ক।
অক্ষয়ের পরবর্তী প্রেমিকার নাম রেখা, যদিওবা এটি প্রকাশিত নয়। নব্বইয়ের দশকের সবচেয়ে বহুলচর্চিত ও বিস্ময়কর সম্পর্ক ছিল অক্ষয়-রেখা সম্পর্ক। বলা হয়, ১৩ বছরের বড় রেখার সৌন্দর্যের প্রতি মুগ্ধ হয়ে পড়েছিলেন ইন্ডাস্ট্রিতে সদ্য পা রাখা অক্ষয়। রেখা অবশ্য সম্পর্কটিকে গম্ভীর ভাবেই নিয়েছিলেন এবং বিয়েও করতে চেয়েছিলেন অক্ষয়কে। তবে ‘খিলাড়িও কা খিলাড়ি’ হিট হওয়ার পর রেখার থেকে সরে দাঁড়ান অক্ষয়।
‘খিলাড়িও কা খিলাড়ি’র অভিনেত্রী রবীনা ট্যান্ডনের সঙ্গে বেশ কিছু হিট ছবি করে পর্দায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠে অক্ষয়-রবীনা রোমান্স। এই পর্দার প্রেম ক্রমে রূপ নেয় বাস্তব জীবনেও। সম্পর্কের গভীরতা এমনই হয়েছিল যে উভয়ের পরিবার পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে গম্ভীর ছিল। তবে আকস্মিক ভাবে অক্ষয় ভেঙে দেন এই সম্পর্কটিকেও।
‘ম্যায়ঁ খিলাড়ি তু আনাড়ি’ ছবি করে এরপর অক্ষয়ের প্রেম জাগে শিল্পা শেঠীর প্রতি। এই সম্পর্কটিই পূর্ণতা পাবে বলে ধরে নিয়েছিল বলিউড। তবে এই সম্পর্কের পরিণতি নিয়েও উদাসীন ছিলেন অক্ষয়। একসময় সরে গেলেন শিল্পার থেকেও।
তবে শিল্পা শেঠীর থেকে সরে যাওয়ার পর অভিনেত্রী টুইঙ্কল খান্নার প্রতি আকৃষ্ট হন খিলাড়ি নম্বর ওয়ান, এবং ২০০১ সালে আকস্মিক বিয়েও সেরে ফেলেন দুজনে, যা প্রথমে জানতেই পারেনি অর্ধেক বলিউড।
তবে টুইঙ্কলের সঙ্গে সংসার পেতেও প্রেম রাশ ছাড়েন নি অক্ষয়ের। এরপর ‘আন্দাজ’, ‘ মুঝসে শাদী করোগী’ ইত্যাদি ছবির মারফত প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার ঘনিষ্ঠ হন খিলাড়ি। সেই সময় দুজনের প্রেম সম্পর্ক নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়। শোনা যায় এই নিয়ে টুইঙ্কল খান্নার বিরাগভাজন হন দুজনেই, ফলে আর কোনো ছবি এমনকি কোনো অনুষ্ঠানেও দুজনকে দেখা যায় নি একসঙ্গে।
এরপর ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গেও অক্ষয়ের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন ওঠে। এক্ষেত্রেও কোনো ঝুঁকি না নিয়ে রুখে দাঁড়ান টুইঙ্কল। প্রায় দুই বছরের সম্পর্কের পর টুইঙ্কলকে আকস্মিক বিয়ে করার কারণ হিসেবে শোনা যায় বিয়ের আগেই গর্ভবতী হয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। অবশ্য, এই সমস্ত ঘটনা বা জল্পনার ঊর্ধ্বে সত্য হল প্রায় ১৯ বছরের দীর্ঘ সুখী দাম্পত্য জীবনে আজ অক্ষয়-টুইঙ্কল দুই সন্তানের বাবা-মা।
