Hoop PlusTollywood

পরিচালকদের জন্য ফটো পোস্ট করি: মধুমিতা

করোনা অতিমারীর কারণে বহু সেলিব্রিটির মতো ঘরবন্দি হয়ে পড়েছেন মধুমিতা সরকার (Madhumita Sarcar)। কিন্তু তিনি সময়ের সাথে চলতে পছন্দ করেন। আগের জীবনে ফিরতে চান না তিনি। বন্ধুরা রোজ পার্টি করতে ডাকলে যেতে চান না। মধুমিতা সৃষ্টিশীল কাজের মধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রাখছেন। ফিল্ম নিয়ে পড়াশোনা করছেন। তবে বাদ যাচ্ছে না দাদার সঙ্গে ব্যাডমিন্টন খেলা।

তবে নিজেকে আইকন করে তোলার ইচ্ছা নেই মধুমিতার। তিনি নিজেকে ইমন বা পাখির মতো বেশি বয়সের চরিত্রে দেখতে চান না। মডেলিং-এর সময় থেকেই নিজেকে ভেঙে-চুরে গড়েছেন তিনি। সব ধরনের পোশাকে ইন্সটাগ্রামে ছবি শেয়ার করেন মধুমিতা। তবে হইচই-এর নতুন ওয়েব সিরিজ ‘উত্তরণ’-এ তাঁকে দেখা যাবে শাড়ি পরে, বিবাহিতা মেয়ের চরিত্রে। তবে ‘উত্তরণ’ ও ‘কুসুম দোলা’-র মধ্যে রয়েছে আকাশ-পাতাল তফাৎ। তবে সব ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে পছন্দ করেন মধুমিতা। তাঁর অভিনয়ের ধারা তুলে ধরে ইন্সটাগ্রাম। মধুমিতা পরিচালকদের জন্য ইন্সটাগ্রামে ছবি পোস্ট করেন যাতে তাঁরা মধুমিতার বৈচিত্র্যের কথা মাথায় রাখতে পারেন।

মধুমিতা অভিনীত ওয়েব সিরিজ ‘উত্তরণ’-এর গান ভাইরাল হয়েছে। রাজদীপ (Rajdip)-এর সঙ্গে কাজ করে ভালো লেগেছে বলে জানিয়েছেন মধুমিতা। অনেকে বলেন, অভিনেতারা ইন্সটাগ্রামে সময় কাটান। কিন্তু মধুমিতার মতে, এক দিনের শুট করে সারা মাস চালানো যায়। ইন্সটাগ্রামে ছবি ও ভিডিও শেয়ার করতে লাগে মাত্র তিরিশ সেকেন্ড। তবে নেটিজেনদের একাংশ ইন্সটাগ্রামে সময় কাটানোর বলেই সেলিব্রিটিদের ফলোয়ারের সংখ্যা বেড়ে যায়।

পুজোর সময় খুব রোগা হয়ে গিয়েছিলেন মধুমিতা। কারণ তাঁর চোয়ালে একটি সমস্যা হয়েছিল। তরল খাবার ছাড়া খেতে পারছিলেন না তিনি। তবে এখন সুস্থ আছেন মধুমিতা। তাঁর ওজন সামান্য বেড়েছে। ওটিটি তাঁর কেরিয়ার তৈরি করতে সাহায্য করছে বলে মনে করেন মধুমিতা। এখানে অনেক কাজের সুযোগ। প্রথমে সিরিয়ালের মাধ্যমে কেরিয়ার শুরু করেছিলেন মধুমিতা। কারণ ফিল্মে অভিনয়ের মতো পরিস্থিতি ছিল না। পরে ফিল্মে আসেন তিনি। তবে ইন্ডাস্ট্রিতে দশ বছর হয়ে যাওয়ার পরেও তাঁকে নবাগতা বলা হয়। বড় প্রযোজনা সংস্থা বা কোনো সেলিব্রিটি তাঁকে সাহায্য করেননি। দশ বছরে মধুমিতা মাত্র তিনটি ফিল্মে অভিনয় করেছেন। তিনি মনে করেন, পরিচালকরা জানতেন, মধুমিতা তাঁদের কথা শুনবেন। মধুমিতার অনুরাগীর সংখ্যাও বেশি। ফলে চরিত্র নির্বাচনে তা সাহায্য করেছে।

তবে মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty), নুসরত জাহান (Nusrat Jahan)-দের পর তাঁর নাম নেওয়া হয়। কিন্তু খারাপ লাগে না মধুমিতার। তিনি মনে করেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা বেশি। অভিনয় তাঁর চেয়ে ভালো করেন। কিন্তু মধুমিতাও চেষ্টা করেন ভালো অভিনয় করার। কোনো ফিল্ম ফ্লপ হলে, তাঁর উপর দায়িত্ব যাতে না বর্তায়, সেই চেষ্টাই করেন তিনি।

একসময় অনেক বার তাঁর মৃত্যুর খবর বেরিয়েছে। মধুমিতার মা অস্থির হয়ে পড়তেন এই ধরনের খবর পড়ে। কিন্তু খারাপের মধ্যে ভালো আছে বলে মনে করেন মধুমিতা। একসময় মন খারাপ হলে বারো ঘন্টা ঘুমাতেন। তবে এই বিষয়টা থেকে বেরিয়ে আসতে কাজ করতে পছন্দ করেন মধুমিতা।

Related Articles