Skin Care Tips: ঘরোয়া উপাদানে ত্বক ফর্সা করার ৬টি টিপস
ফর্সা হওয়ার জন্য আমরা কত কিছুই না করে থাকি, বাজারচলতি কতকিছু ক্রিম ব্যবহার করে নিজের গায়ের রং ফর্সা করতে চাই। কিন্তু আমরা অনেকেই জানিনা, কম খরচে আপনি কি করে আপনার গায়ের রং কে পরিষ্কার করতে পারেন তাহলে দেরি না করে আমাদের Hoophaap এর পাতায় চটজলদি দেখে ফেলুন ফর্সা হওয়ার সহজ ৬ টি টিপস।
১) ফর্সা হওয়ার জন্য সবচেয়ে উপকারী একটি উপাদান হলো লেবু। প্রতিদিন সকালবেলা উঠে গরম জলে লেবু দিয়ে যদি সেই জল পান করতে পারেন, তাহলে আপনার শরীর ভেতর থেকে টক্সিন ফ্রি হবে এবং মুখের ওপরে হওয়া দাগ সহজে মিলিয়ে যাবে।
২) ফর্সা হওয়ার আরেকটি দারুন উপাদান হলো গোটা জিরে। আমরা হয়তো অনেকেই জানি না গোটা জিরে আমাদের শরীরকে ভেতর থেকে টক্সিনমুক্ত রেখে মুখের উপরে হওয়া নানান রকম দাগ মিলিয়ে যেতে সাহায্য করে এক লিটার জলের মধ্যে এক টেবিল চামচ গোটা জিরে প্রায় ১০ মিনিট ধরে ফোটানোর পরে, সেই জল আপনি প্রতিদিন খেতে পারেন খালি পেটে, তাহলে ত্বক অনেক বেশি সুন্দর হয়ে যাবে।
৩) ত্বক পরিষ্কার করার জন্য আরেকটি অসাধারণ উপাদান হলো মেথি। মেথি ভেজানো জল যদি প্রতিদিন খেতে পারেন, তাহলে ত্বক অনেক বেশি সুন্দর হয়, তবে এই মেথি ভেজানোর পরেই এই মেথিকে কিন্তু ফেলে দেবেন না। জল খাওয়ার পরে যে মেথি পরে থাকবে সেই মেথি খানিকটা ভালো করে পেস্ট করে নিয়ে, এর মধ্যে ১ টেবিল চামচ টক দই ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি যদি ত্বকের ওপরে অন্তত দশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে পারেন, তাহলে ত্বকের উপরে হওয়া কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
৪)ত্বক পরিষ্কার করার জন্য পাতিলেবুর রস যদি প্রতিদিন সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে তুলোর মধ্যে করে তাকে বেশ খানিকক্ষণ লাগিয়ে রাখতে পারেন, তাহলে ত্বকের ওপরে হওয়া কালো দাগ খুব সহজে দূর হয়ে যাবে। যদি পারেন এই রসের সঙ্গে সামান্য পরিমাণে নুন যদি মেশাতে পারেন, তাহলে কাজ আরো দ্রুত হবে।
৫) আমরা হয়তো অনেকেই জানি না কর্পূর আমাদের ত্বক পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। শীতকালে নারকেল তেলের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ কর্পূর মিশিয়ে ভালো করে মালিশ করতে পারেন, তাহলে ত্বক একেবারে কাঁচের মতো ঝকঝকে করবে।
৬) মুখের লোম যদি সহজে তুলে ফেলেন তাহলেও আপনার গায়ের রং অনেক পরিষ্কার হয়, তবে এর জন্য আপনাকে খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না। সামান্য গরম জলের মধ্যে এক টুকরো ফটকিরি ফেলে দিন। এরপর এই ফটকিরির জল যেখানে লোমের আধিক্য বেশি সেখানে বেশ খানিকটা করে লাগিয়ে রাখুন। এরপর ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন। এরকম নিয়মিত করতে পারলে মুখের ত্বক যেমন অনেক বেশি পরিষ্কার হবে, তেমন সহজে অবাঞ্ছিত লোম উঠে যাবে।