অতিসম্প্রতি দুবাই-এর ধনপতি ব্যবসায়ী সুরজ নাম্বিয়ারের সঙ্গে সাতপাকে আবদ্ধ হয়েছেন মৌনী রায়। বিয়ের পরই বন্ধুদের সাথে উপভোগ করবার জন্য রাত্রিবেলা একটি সুন্দর পার্টির আয়োজন করে বসেন নবদম্পতি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় সেই ভিডিও। সেটাই হয়ে যায় কাল। বিয়ের পর পার্টিতে মৌনীর উদ্দাম নাচ মেনে নিতে পারেননি নেট নাগরিকরা। করে বসেন মন্তব্য। ট্রোলের মুখে পড়েন বাঙালি মেয়ে।
ভিডিওটিতে দেখা যায় সাদা-কালো রঙের একটি জমকালো স্লিভলেস গাউন পড়েছেন মৌনী। বাংলার বাঙালি মেয়ের নতুন বিয়ে বলে কথা। হাতে শাঁখা পলা তো থাকবেই। সব সমেত গায়ক ইমরান খানের ‘অ্যাম্পলিফায়ার’ গানের সঙ্গেই নাচতে দেখা যায় মৌনী ও তাঁদের মেয়ে বন্ধুদের। নৃত্যের ভঙ্গিমায় বেশ সুন্দর লাগছিল নৃত্যাশিল্পী মৌনিকে। পার্টিটি চলছিল একটি ডান্সিং বারের বন্ধ দরজার মধ্যে। বন্ধুদের সঙ্গে তিনি বার কাউন্টারের উপরই নাচে মত্ত ছিলেন। পাপারাজ্জিদের দ্বারা কোনো ভাবে নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে ভিডিওটি। ব্যাস, কটাক্ষের শিকার হয়ে বসেন অভিনেত্রী।
‘শাঁখা পলা পড়ে নতুন বউ-এর এমন বিভৎস নাচ কল্পনা করা দায়।’- মন্তব্য করেছেন বেশিরভাগ নেট নাগরিক। কেউ বা জ্ঞানের ভান্ডার খুলে নিদান দিয়ে বসেছেন, ‘শাঁখা পলার অপমান করছেন মৌনী, বাঙালি মেয়ে হয়ে এটুকু বোঝে না!’। যাই হোক হাতের পাঁচটা আঙ্গুল তো আর সমান নয়। কেউ কেউ পাশেও ছিলেন সুরাজ পত্নীর, ‘ সদ্য বিয়ের পরের অনুষ্ঠানটি কিভাবে বন্ধুদের সাথে পালন করে খুশি হবেন সেটা ওনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। শাঁখা পলা পরে নাচ করলেই যে তাকে অপমান করা হয় এমন কোনো কথা নেই’।
কুচবিহারের মদনমোহন মন্দিরে মা পুজো দেওয়ার পরেই বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হয়েছিল মৌনীর। অর্থাৎ তাঁর পরিবার যে ধার্মিক, তা বেশ স্পষ্ট। কথা ছিল কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া আসরে ঢোকা যাবেনা। তাই কথামতই প্রিয় বন্ধু অর্জুন বিজলানিরা সময়ের মধ্যেই বিয়ের মালপত্র সমেত উড়ে গিয়েছিলেন গোয়া। মৌনী অবশ্য আগেই পাড়ি জমিয়েছিলেন। বিয়ের আগের দিনই হবু স্বামীর ছবি শেয়ার করে অনুরাগীদের সাথে পরিচয় করান সুরজ নাম্বিয়ারের। ২৭ জানুয়ারি সুস্থ ভাবে বিয়ে সম্পন্ন হয়। নতুন জীবনের শুরুতেই এতো ট্রোলড হয়েও মৌনী কিন্তু বেশ নীরব। যাই হোক, শুভকামনা রইল নব দম্পতির আগামী দিনের জন্য।
