Serial: সব বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে খুকুর হাতেই হাতেখড়ি বিহানের, জমজমাট পর্ব সরস্বতী পুজোয়
শুরু থেকেই দর্শকের সোহাগী হয়েছে স্টার জলসার নতুন জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‛খুকুমণি হোম ডেলিভারি’। সপ্তাহান্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর ধামাকা দিয়ে অনুরাগীদের মন জয় করে রেখেছে এই ধারাবাহিকটি। টিআরপির তালিকাতেও শীর্ষ স্থানে রয়েছে। ‛খুকুমণি’ ধারাবাহিকের মূল চরিত্র অর্থাৎ অভিনেত্রী দীপান্বিতা রক্ষিত ও অভিনেতা রাহুল মজুমদার একাধারে খুকুমণি ও বিহান হয়ে দর্শকের মনের মনিকোঠায় ইতিমধ্যে বসবাসও করতে শুরু করে দিয়েছেন।
অতিসম্প্রতি স্টার জলসা এই ধারাবাহিকের একটি বহু আকাঙ্খিত প্রোমো প্রকাশ করেছে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে। দেখা যাচ্ছে সরস্বতী পুজোর দিন খুকুমণি তার কথামতো এগিয়ে এসেছে বিহারের হাতেখড়ির দায়িত্ব নিতে অর্থাৎ স্টার জলসার ‘চলো পাল্টাই’ মন্ত্রে এবার অভিষেক হতে চলেছে বিহারের পড়াশোনার। পাশে থাকবে তার স্ত্রী খুকুমণি। বিহানকে খুকুমণি জিজ্ঞেস করে,“ প্ৰথম তুমি কি লিখতে চাও?” বিহানের ভাষায়, সে ‛মা’ লিখতে চায়।
কথায় আছে সব জায়গায় কেউ না কেউ কুঁজি মন্থরা হয়ে থাকেন। দেখা যায় সেইমুহূর্তেই বিহানের সৎ মা বিহানের হাত থেকে স্লেট কেড়ে নিয়ে তার লেখায় ব্যাঘাত ঘটান। তখনই খুকুমণি এগিয়ে এসে নিজের হাত বাড়িয়ে দেয় স্বামীর দিকে এবং বলে বসে,“এখানে লেখো”। বিহানও নিজের শুভাকাঙ্ক্ষী স্ত্রী-এর হাতে লাল পেন দিয়ে ‘মা’ লিখে ফেলে। বলা বাহুল্য, সৎ মা সর্বদা তার ক্ষতি চিন্তায় মগ্ন। সম্পত্তির লোভে ঘুম হয়না রাতে। ছোটবেলা থেকেই মা-এর ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত বিহান। তাই হয়ত নিজের প্রথম অক্ষরে নিজের মা-কে খুঁজে নিতে চেয়েছে সে।
উল্লেখ্য, মানসিক ভাবে অসুস্থ বিহানকে আগাগোড়াই আগলে রেখেছে খুকুমণি। একটা বন্ধ ঘরের মধ্যে থেকে বেরোতে শিখিয়েছে তাকে। সারা পরিবার যখন দূরে সরিয়ে রেখেছে, খুকুমণি কোনো পরোয়া করেনি। বরাবরই এগিয়ে এসেছে বিহানের পাশে দাঁড়াতে। বিয়ে হয়ে আসা থেকেই খুকুমণি বিহান সহ সারা পরিবারের পাশে থেকেছে। সবাইকে নতুন করে বাঁচতে শিখিয়েছে। এই ক্ষেত্রেও যে, সে মা সরস্বতীর আশীর্বাদে বিধানকে যথাযথ পড়াশোনা শেখাতে সক্ষম হবে সে বিষয়ে কোনোরূপ সন্দেহ আর অবশিষ্ট নেই।