Weather Report: বিদায় নেবে শীত, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার আগমনে বাংলার আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা
বাংলার সাথে শীতের সোহাগ প্রায় শেষ। আর মাত্র কিছু ঘন্টা। আর তারপরই বিদায় নেবে শীত। আবহাওয়া দপ্তরের কথামত পারদ পতন ইতিমধ্যেই স্তব্ধ। তাপমাত্রা বেড়ে চলেছে। বুধবার রাতে হালকা মেঘের ভেলাগুলিকে এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হতে চলেছে বৃষ্টিবিপদ। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা এসে হাজির হয়ে গিয়েছে পূর্বে। বজ্র বিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টির সতর্কতা সারা বাংলা জুড়ে। আবার জারিও হয়ে গিয়েছে হলুদ সতর্কতা।
বৃহস্পতিবারের আবহাওয়া:
কলকাতার আকাশ তো সকাল থেকেই মুখ ভার করে বসে রয়েছে। কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশে রোদের ছিটেফোঁটা থাকলেও তেমন জৌলুস নেই।
কথা ছিল জানুয়ারির শেষেই শেষবারের মতো শীতের স্পর্শ পাবে রাজ্য। ফেব্রুয়ারি শুরু হতে না হতেই তাপমাত্রা চড়তে শুরু করে দিয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল থেকেই হালকা বৃষ্টির সম্মুখীন হয়েছে রাজ্যের কিছু অংশ। বঙ্গোপসাগর থেকে আসা অত্যধিক জলীয় বাষ্প বেশিমাত্রায় আদ্রতার কারণ হতে পারে। উল্লেখ্য, আগামী দুই দিন অর্থাৎ ৪ ও ৫ তারিখ তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রির বেশিও বাড়তে পারে।
আজ অর্থাৎ ৩ তারিখ থেকেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত শুরু হবে দক্ষিণবঙ্গের এই ছয় জেলায়। যথাক্রমে বাঁকুড়া, বীরভূম, দুই বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ। আগামীকাল বৃষ্টির প্রকোপ বেড়ে উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, হাওড়া , হুগলি, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, , মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান , ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, নদীয়া এই জেলাগুলিকে ধরাশায়ী করবে। এর মধ্যে কিছু কিছু জেলায় ভারী সতর্কতাও জারি করে দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে নদিয়া, দুই বর্ধমান, বাঁকুড়া, বীরভূম ও মুর্শিদাবাদ। ৫ তারিখ অর্থাৎ শনিবার সরস্বতী পুজোর দিন একটু হলেও কমতে পারে বৃষ্টির প্রকোপ তবুও মেঘলা আকাশে রোডের দেখা মিলবে না।
আগামীকাল দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুর, মালদা, কালিম্পং জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করে দেওয়া হয়েছিল। সকাল সকাল দার্জিলিং, কালিম্পং, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি,আলিপুরদুয়ারের কিছু অংশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা। মূলত ৫ তারিখ অবধিই চলবে এই অসাময়িক বিপদ। তবে দার্জিলিং, কালিম্পং-এর জেলাগুলোতে ধসের সম্ভাবনা থাকায় ৪ তারিখ অবধি হলুদ সর্তকতা ইতিমধ্যে জারি করে দেওয়া হয়েছে।