মুম্বাইয়ের হাসপাতালে জীবনাবসান হলো ৬৯ বছর বয়সী বাপ্পি লাহিড়ীর। লতা মঙ্গেশকর, সন্ধ্যা মুখার্জির পরে আবারো সংগীতজগতে নক্ষত্র পতন। ১৯ বছর বয়সে মুম্বাইতে এসেছিলেন। ১৯৭৩ খ্রিস্টাব্দে নানহা শিকারি সিনেমাতে হিন্দি গান রচনা করেছিলেন তার পরে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। মাঝখানে কিছুদিন চলচ্চিত্র জগৎ থেকে সরে গিয়েছিলেন তিনি, তারপর আবার মোহরা সিনেমার মাধ্যমে ফের পদার্পণ হয় বাপ্পি লাহিড়ীর। তবে শুধু গানই নয় তবলা, পিয়ানো, ড্রাম বিভিন্ন ইন্সট্রুমেন্ট তিনি বাজাতে পারতেন।
মুম্বাই হাসপাতালে তাঁর জীবনাবসান হয়। সংবাদ সংস্থা সূত্রে এমনটাই জানানো হচ্ছে। বাংলায় জন্ম হয়েছিল শাস্ত্রীয় সংগীত পরিবার। তাই ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীত কেই তিনি জীবনের একমাত্র সাধনা হিসাবে মেনে নিয়েছিলেন। বাবা অপরেশ লাহিড়ী ছিলেন সঙ্গীত জগতের এক বিখ্যাত গায়ক, অন্যদিকে মা বাঁশরী লাহিড়ী ছিলেন একজন সঙ্গীতজ্ঞ এবং গায়িকা। এমন পরিবারে বাপ্পি লাহিড়ীর মতন সন্তান জন্মগ্রহণ করবে এমনটাই স্বাভাবিক। সংগীতশিল্পী কিশোরকুমার তার সম্পর্কে মামা ছিলেন।
পরবর্তীকালে অনেক রিয়েলিটি শো এর বিচারক আসন অলংকৃত করেছিলেন বাপ্পি লাহিড়ী। নতুন প্রতিভাদের গানেতে বেশি করে উৎসাহ দিতেন তিনি, কিন্তু মাত্র ৬৯ বছরে স্তব্ধ হয়ে গেল আরেকটি সংগীত জীবন। এরাই ছিলেন আমাদের নতুন প্রতিভার একমাত্র স্তম্ভ, কিন্তু এক এক করে সবাই পরলোকগমন করেছেন, তা সত্যিই আমাদের কাছে বড় দুঃখজনক খবর। জীবন থাকলে মৃত্যু একদিন আসবেই এই সত্যকে আমরা মেনে নিয়ে তাদের গান এবং তাদের সৃষ্টিকে নিজেদের মধ্যে রেখে দিতে পারি। আমরা প্রত্যেকে তার আত্মার শান্তি কামনা করি। এইসব মানুষ কোনদিন শেষ হয়ে যেতে পারেন না তারা তাদের সৃষ্টির মাধ্যমে থেকে যাবেন প্রত্যেকের মনের মধ্যে।