16 ই ফেব্রুয়ারি ভোরে অন্তিম লোকে পাড়ি দিয়েছেন বাপ্পী লাহিড়ী (Bappi Lahiri)। বাপ্পী সোনার গয়না পছন্দ করতেন। সবসময়ই তাঁকে দেখা যেত সোনার গয়নায় নিজেকে মুড়ে রাখতে। পরবর্তীকালে তিনি ‘লুমিনেক্স ইউএনও’ নামে একটি মিশ্র ধাতুর গয়না ব্যবহার করতেন। এটি ছিল সোনা, রূপো, প্ল্যাটিনামের মিশ্রণ। তবে সোনাকে চিরকাল পয়া মনে করতেন বাপ্পী। গলায় পরতেন রত্নখচিত পেনডেন্ট, দশ আঙুলে দশ রকমের আংটি। শেষ জন্মদিনে নিজেই নিজেকে উপহার দিয়েছিলেন সোনার পেয়ালা। কিন্তু সবকিছু ছেড়ে হঠাৎই চলে যেতে হল তাঁকে।
View this post on Instagram
তাঁর স্বর্ণালঙ্কার যত্ন করে রাখার জন্য ছিলেন একজন সহকারী। তিনি গয়নাগুলির রক্ষণাবেক্ষণ করতেন। শোনা গিয়েছে, একটি করে মিউজিক অ্যালবাম মুক্তি পেলেই বাপ্পী একটি সোনার বা হীরের গয়না কিনতেন। তাঁর ধারণা ছিল, এটি করলে তাঁর ওই মিউজিক অ্যালবাম হিট হবে। কিন্তু প্রতিটি গয়না পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে রেখে দেওয়া হত নির্ধারিত বাক্সে। তবে তাঁর গয়না অন্য কেউ স্পর্শ করবেন তা পছন্দ করতেন না বাপ্পী। একবার তাঁর এক সহকারী তাঁর গয়নার সঙ্গে ছবি তুলতে চাইলে বিনয়ের সঙ্গে তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন বাপ্পী। কেউ যাতে তাঁর শরীর ও গয়না স্পর্শ করতে না পারেন, তার জন্য সকলের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতেন বাপ্পী। কিন্তু তাঁর চলে যাওয়ার পর কি হবে তাঁর সোনার গয়নার? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর অনুরাগীদের একাংশ।
View this post on Instagram
বাপ্পীর একজন পারিবারিক বন্ধু জানিয়েছেন, বাপ্পীর দুই সন্তান বাপ্পা (Bappa Lahiri) ও রিমা (Reema) ঠিক করেছেন, বাপ্পীর বাকি জিনিসের মতোই তাঁর গয়নাগুলিও সংরক্ষণ করা হবে। গয়নাগুলি সংরক্ষণ করা হবে দুটি ভাগে।
একটি ভাগে থাকবে তাঁর নিয়মিত পরা গয়না। সেগুলি বাক্সে যত্ন করে সাজানো থাকবে। দ্বিতীয় ভাগে থাকবে তাঁর বিশেষ উপলক্ষ্য অনুযায়ী পরার গয়না। সেগুলিও আলাদা ভাবে বিশেষ বাক্সে তুলে রাখা হবে। বাপ্পীদা সোনা ভালোবাসতেন। ফলে অনেকেই তাঁকে স্বর্ণমূদ্রা বা মূর্তি দিতেন উপহার হিসাবে। সেগুলিও আলাদা ভাবে সংরক্ষিত থাকবে।
View this post on Instagram