Dhoni-Sakshi: বিবাহিত জীবনে খুশি নন স্ত্রী সাক্ষী? কি বললেন ধোনির সম্বন্ধে!
ক্রিকেটারদের জীবনে ব্যক্তিগত বলে কিছু থাকতেই পারে না। এমন বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনির অর্ধাঙ্গিনী সাক্ষী ধোনি। কিন্তু হঠাৎ এরকম মন্তব্য কেন করে বসলেন তিনি? তবে কি সাক্ষী এবং ধোনির দাম্পত্যের সম্পর্কে ধীরে ধীরে ফাটল ঘনিয়ে আসছে? তাঁর স্বামী ধোনির সম্পর্কে কি কোনও অভিযোগ রয়েছে তাঁর?
২০২০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে পাকাপাকি অবসর নেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক। আইপিএল-এ এবারেও চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে খেলবেন তিনি। বরাবরের মতো তিনি থাকছেন দলের অধিনায়ক। এই দলের ফ্র্যাঞ্চাইজি সম্প্রতি একটি ভিডিও পোস্ট করেন যেখানে ক্রিকেটারের স্ত্রী রা তাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতার কথা বলছেন। সেখানেই ধোনিজায়া এরকম মন্তব্য করেছেন।
সাক্ষী যেরূপ মন্তব্য করেছেন তাতে এই ভাবনাই তাঁদের অনুরাগীদের মনে আসাটা স্বাভাবিক। সাক্ষীর মত অনুযায়ী আমাদের মত দেশ অর্থাৎ ভারতে কোনও ক্রিকেটারের স্ত্রী হয়ে বেঁচে থাকাটা খুব একটা সহজ কাজ নয়। ব্যক্তিগত পরিসর কাকে বলে তা নাকি ভুলে যেতে হয়েছে সাক্ষীকে। কিন্তু ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক নিজের পরিবারকে খুব কম সময় প্রকাশ্যে আনেন। অন্যান্য ক্রিকেটারদের তুলনায় তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্টই নিস্তেজ। ক্রিকেট এবং ব্যক্তিগত জীবনের মাঝখানে একটি সুস্পষ্ট সীমারেখা মেনে চলতে চান ধোনি। ধোনির স্ত্রী আবার ইনস্টাগ্রামে বেশ সক্রিয়। সংবাদমাধ্যমের কাছে তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে যেটুকুনি তথ্য আসে তা তাঁর পোস্টের মাধ্যমেই।
তিনি ধোনিকে কোনও দোষ দেন নি। বরং তিনি দুষেছেন ক্রিকেটারদের আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তাকে। আসলে এই খ্যাতি, যশ, প্রতিপত্তি তাঁর কাছে বিড়ম্বনার সমার্থক। পরিবারকে ছেড়ে দীর্ঘদিনের জন্য ক্রিকেটের লম্বা সফর, সারাদিন পাপারাজ্জির ক্যামেরা কিংবা সংবাদমাধ্যমের অনধিকার চর্চা এসব একজন তারকার পরিবারের সকলের ব্যক্তিগত জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। তিনি মনে করেন কোন ক্রিকেটারের স্ত্রী হতে পারাটা আমাদের দেশে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের বিষয়।
ধোনির আন্তর্জাতিক সিরিজ খেলার সময় প্রায়শই তাঁর সঙ্গে দেখা যেত তাঁর পত্নী এবং কন্যাকে। যে কোনও অন্য পেশায় নিযুক্ত মানুষের স্ত্রী এবং একজন ক্রিকেটারের স্ত্রীর মধ্যে বিস্তর ফারাক। কারণ তাঁদের মত আর কারোর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রকাশ্যে চর্চা হয় না। এমনটাই মনে করেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনির পত্নী সাক্ষী ধোনি। ক্রিকেট নিয়ে প্রচণ্ড চাপে থাকেন ধোনি। তাই ধোনিকে এসব নিয়ে যতটা সম্ভব কম ব্যতিব্যস্ত করার চেষ্টা করেন সাক্ষী। ধনী যে অসংখ্য মানুষের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠতে পেরেছেন তাতে স্ত্রী হিসাবে তিনি গর্বিত। এমন কি ভারতের প্রত্যেকটি ক্রিকেটারের জন্যই তিনি গর্ব অনুভব করেন।