Weather Report: বাড়তে পারে উষ্ণতার পারদ, ঘূর্ণিঝড়ের কতখানি প্রভাব পড়তে চলেছে বাংলায়!
সম্প্রতি আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় অশনি। দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া সেই ঘূর্ণিঝড় আস্তে আস্তে শক্তি বাড়িয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। এই ঘূর্ণিঝড়ের অবস্থান এখন দক্ষিণ আরব সাগর এবং দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরের মধ্যস্থলে।
কিন্তু এই ঘূর্ণিঝড়ে বিশেষ কিছু সুবিধা হবে না পশ্চিমবঙ্গের। বরং উত্তরোত্তর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা জানিয়েছেন, সামনের সপ্তাহে কিছুটা তাপমাত্রার পরিবর্তন হতে পারে কারণ প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকতে পারে দক্ষিণবঙ্গের কিছু উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে।
আজ রবিবার সপ্তমে থাকবে আবহাওয়ার পারদ। নাজেহাল ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস করতে হবে শহরবাসীকে। আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তিও বজায় থাকবে। সোম থেকে বুধবার এই তিন দিন নিম্নচাপের জেরে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই স্পষ্টত যে অস্বস্তি বাড়বে তা বোঝাই যাচ্ছে।
বসন্তকে বলা হয় ঋতুরাজ। কিন্তু ঋতুরাজ যেন এবার বেশ অভিমানী। গত শুক্রবার চলে গিয়েছে দোল। কিন্তু বাংলার মানুষ যেন এখনও ঠিক করে বসন্তকে পায়নি। গ্রীষ্মের একচেটিয়া দাবদাহে যেন চাপা পড়ে গিয়েছে বসন্তের আমেজ।
আপাতত আবহাওয়াতে শুষ্ক এবং উষ্ণ অবস্থায় বজায় থাকবে বলে জানিয়েছেন হাওয়া অফিস। আজ কলকাতায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হতে পারে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা হতে পারে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। তবে রাতের দিকে কিছুটা হলেও তাপমাত্রা কমবে ফলে বসন্তের সামান্য আমেজ পেতে পারে বঙ্গবাসী। উত্তরের জেলাগুলিতে সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা আগামী দিনে থাকছে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৯২ শতাংশ, ন্যূনতম ২৪ শতাংশ।
নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব না পড়লেও বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকবে আমাদের রাজ্যে। এর ফলে শুষ্ক আবহাওয়ার মাঝেই জলীয়বাষ্প বাড়তে থাকায় অস্বস্তিতে ধীরে বাড়বে। ২২ মার্চ মঙ্গলবার আংশিক মেঘলা আকাশের সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলের জেলাগুলিতে। আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে আগামী কয়েকদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি, প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা। সঙ্গে ৭০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝোড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।