Uttam-Gourab: হুবহু মহানায়কের ‘ছদ্মবেশী’ সাজে নাতি গৌরব, কিভাবে ঘটল এমন ঘটনা!
ভবানীপুরের চট্টোপাধ্যায় পরিবারের অতীত প্রজন্ম ও বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে তুলনাটা বহু শতক ধরে চলতেই থাকবে। কারণ এই পরিবারের কর্তা ছিলেন বাঙালির প্রিয় মহানায়ক উত্তম কুমার (Uttam Kumar)। তাঁর পৌত্র গৌরব চট্টোপাধ্যায় (Gaurav Chatterjee) ইন্ডাস্ট্রিতে আসার দিন থেকেই এটা জানেন। তবে এই তুলনা তাঁকে হীন করে না, গৌরবান্বিত করে। কারণ তিনি সেই কিংবদন্তীর অংশ যিনি বাঙালির একান্ত নিজস্ব। কিন্তু ঘটনাচক্রে গৌরবের মাধ্যমে আরও একবার দর্শকদের মনে পড়ে গেল মহানায়ক অভিনীত ‘ছদ্মবেশী’ ফিল্মে তাঁর লুক।
এই মুহূর্তে স্টার জলসায় সম্প্রচারিত সিরিয়াল ‘গাঁটছড়া’-য় অভিনয় করছেন গৌরব। এই সিরিয়ালের একটি বিশেষ পর্বে তাঁকে দেখা যেতে চলেছে গাড়ির চালকের ছদ্মবেশে। এই পোশাকের সাথে মিল রয়েছে ‘ছদ্মবেশী’-তে উত্তম কুমারের পোশাকের। এই ফিল্মে তিনিও গাড়ির চালকের ছদ্মবেশ ধারণ করেছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় গৌরবের এই ছবি ভাইরাল হতেই উত্তম কুমার ও গৌরবের ছবির কোলাজ বানিয়ে শেয়ার করে অনুরাগীদের একাংশ লিখেছেন, দাদুর প্রতি নাতির অনুচ্চারিত শ্রদ্ধাঞ্জলী।
View this post on Instagram
‘গাঁটছড়া’-য় আপাতত চলছে টানটান মোড়। ভাইরাল হওয়া প্রোমোয় দেখা যাচ্ছে, রাহুলের কুকীর্তির প্রমাণ যোগাড় করতে একটি রিসর্টে উপস্থিত হয় ঋদ্ধিমান, খড়ি ও সাংবাদিক শ্রুতি। কারণ রাহুল , ঋদ্ধিমানের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে দ্যুতিকে বিয়ের পিঁড়ি থেকে উঠিয়ে তার সর্বনাশ করেছে। মিথ্যা ভালোবাসার অভিনয় করে দ্যুতির সঙ্গে রাহুল সহবাস করার ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে দ্যুতি। কিন্তু রাহুল তাকে বিয়ে করতে চায়নি। রাহুলের প্রতি স্নেহান্ধ ঋদ্ধিমান সব বুঝেও বুঝতে চাইছে না। এই কারণে সে প্রকৃত ঘটনা জানতে ধারণ করে ছদ্মবেশ।
গৌরবের ছদ্মবেশ দেখে সকলে নস্টালজিক হলেও তিনি জানিয়েছেন, অভিনয়ের স্বার্থে এই পোশাক পরেছেন তিনি। অভিনয়ের সময় কিন্তু তাঁর মনে পড়েনি দাদুর কথা। ‘গাঁটছড়া’-র প্রযোজক স্নিগ্ধা বসু (Snigdha Basu)-র কাছে ঘটনাটি একেবারেই কাকতালীয়। তাঁদেরও কারো মনে পড়েনি উত্তম কুমারের ‘ছদ্মবেশী’ লুকের কথা। কিন্তু গৌরবকে দর্শকরা এই সাজে গ্রহণ করতে পেরেছেন জেনে তিনি খুশি। তবে স্নিগ্ধা মনে করেন, তাঁরা মহানায়কের নাতি গৌরবকে পেয়ে ভাগ্যবান। কারণ উত্তম কুমারের সাথে কাজ করার সুযোগ কোনোদিন না হলেও তাঁর পৌত্র গৌরবের সঙ্গে কাজ করতে পেরে খুশি তাঁরা।