Raja-Madhubani: ‘ইস্মার্ট জোড়ি’-র মঞ্চে আবেগপ্রবণ মধুবনী, ‘টিআরপি বাড়ানোর ধান্দা’ কটাক্ষ নেটিজেনদের
গটলিউডের নাম এই তারকা দম্পতিরা ইস্মার্ট জোড়িতে উপস্থিত হয়েছেন নিজেদের ভালোবাসার গল্প শোনাতে। জীতু নবনীতা থেকে বাদাম কাকু এবং তার স্ত্রী, অথবা সম্রাট ময়না কিংবা সদ্যপ্রয়াত অভিষেক চট্টোপাধ্যায় এবং সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায় জিতের এই নতুন রিয়্যালিটি শোর মঞ্চে দেখাও তারকাদের মহাসমাবেশ। এই শোতেই ধরা দিলেন টলিউডের অন্যতম পাওয়ার কাপেল রাজা গোস্বামী এবং মধুবনী গোস্বামী। ভালোবাসার পথে তারা দীর্ঘ সময় একসাথে হাতের উপর হাত রেখে হেটেছেন। তাদের প্রথম আলাপ স্টার জলসার জনপ্রিয় সিরিয়াল ভালোবাসা ডট কমের শুটিং সেটে। সেখানে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব তৈরী হয় এবং সেই বন্ধুত্ব ধীরে ধীরে পরিণত হয় প্রেমে। মধুবনী এও জানান যে চেনা ছকের বাইরে গিয়ে প্রথম মধুবনী তাঁকে একটি ধাবাতে প্রপোজ করেন। ভালোবাসার তারা একে অপরকে ৬ বছর ধরে বেঁধে রেখেছেন। পরিবারে এসেছে সন্তান কেশব। ছেলেকে কেশবকে সঙ্গে নিয়ে নানা ছোট ছোট মুহূর্তের ছবি এবং খুঁটিনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাগ করে নেন মধুবনী।
গতবে মধুবনী এবং রাজার এই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই নেটিজেনরা প্রশংসায় ভরিয়ে দেয়। তার সাথে সমান্তরালে চলতে থাকে ট্রোলের বন্যাও। তবে রাজা এবং মধুবনী এই সবে কান দিতে নারাজ। তারা নিজেদের সংসারের যথেষ্ট আনন্দ করে এবং হই হই-র সঙ্গে প্রতি দিন বাঁচেন।
গতকাল জিতের সামনে একজন স্বামী হিসেবে কতটা কেয়ারিং তা জানান মধুবনী। মধুবনী বলেন, ‘ছোটবেলায় জ্বর হলে মা যেমন করে দিত, ও আমার জন্য তেমনই করেছে।’ স্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে রাজার চোখ ছলছল। এরপরই স্ত্রী মধুবনীকে আগলে রাখতে দেখা গিয়েছে রাজাকে।
যদিও নেটিজেনরা এটিকে স্রেফ টিআরপি বাড়ানোর একটি কৌশল বলেই ধরে নেন।এক নেটিজেন লেখেন, ‘একটা মানুষের ১০৪ জ্বর হলে জলপট্টি দেবে না? এটা এমন কী বড় ব্যাপার! স্বামী স্ত্রী-এর সেবা করবে না তো কী বাইরে থেকে লোক এসে কে করবে?’ অপর একজনের মন্তব্য, ‘নিজের স্বামী দেখাশুনা করবেনা তো আর কে করবে পাড়া-প্রতিবেশীরা, যত রকম নাটক এদের।’ কেউ লিখেছেন, ‘আমার স্বামী তো সব সময়ই করে। আমার দায়িত্ব আর আমার বাচ্চার দায়িত্ব তো আমার স্বামীরই। তো এটা তো সব স্বামীই করে।’
গপ্রসঙ্গত এই ইস্মার্ট জোড়ির মঞ্চে শেষবারের মতো ধরা দিয়েছিলেন প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায়ও। অদ্ভুতভাবে সেই দিনটা তোমার দু চোখে আমি আমার মরণ দেখেছি এই গানে নাচ ছিলেন তাঁরা। যদিও তাকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল তৈরি নাচতে যথেষ্ট অস্বস্তি বোধ করছেন। এই এর মঞ্চে জিতের সামনে অভিষেক চট্টোপাধ্যায়কে বলতে শোনা যায় যে এখনো তো আরো দশ বছর একসঙ্গে পথ চলতে হবে। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে শুটিং থেকে ফিরেই সব শেষ। হাসিখুশি প্রাণোচ্ছল মানুষটি পরিণত হয় নিথর মৃতদেহে।