Bengali SerialHoop Plus

Godhuli Alap: সিড-ঋষি অতীত, তরুণীদের নতুন ক্রাশ মাঝবয়সী অরিন্দম!

বাইরে প্যাচপ্যাচে গরম, কিন্তু, শুধুমাত্র ঘরে বসেই নতুন ক্রাশকে দেখার টানটান উত্তেজনা ঠেকায় কে? বৈশাখের শুরুতে বিকেলের পড়ন্ত বেলায় টিভি চ্যানেলের সামনে বসে গেলেই নতুন ক্রাশ হাজির। ভাবছেন কে? তিনি মাঝবয়সী, দাড়ি গোঁফ কাচা পাকা, মিষ্টভাষী, দ্বায়িত্ববান, প্রতিবাদী, দরদী, এবং পেশায় উকিল। নিশ্চয় বুঝে গিয়েছেন কে সেই ব্যাক্তি যাকে ঘিরে এখন মেয়েরা ও শাশুড়িরা লুটোপুটি খাচ্ছে। প্রযোজক রাজ চক্রবর্তী তার নতুন গল্পের হাত ধরে এক মাঝবয়সী ব্যাক্তিকে হিরোর পর্যায়ে রেখেছেন। এই হিরো কোনো জিম করা সুঠাম শরীরের অধিকারী নন কিংবা বোল্ড হ্যান্ডসাম নন। একেবারে নিপাট ভদ্দোর লোক। পেশায় ওকালতি করেন এবং প্রতিবাদী মানুষ।

হ্যাঁ, ধারাবাহিক ‘গোধূলি আলাপ’ এর হাত ধরে ছোট পর্দায় বং ক্রাশ Bong Crush হয়ে উঠেছেন অভিনেতা কৌশিক সেন (Kaushik Sen)। বিভিন্ন ডিবেট শো, বাংলা সিনেমায় কৌশিককে দেখা গেলেও এবারে ছোট পর্দায় তিনি রীতিমত দাপিয়ে কাজ করছেন। প্রায়, ১২ বছর পর, ছোট পর্দায় যেমন কামব্যাক করছেন, তেমনই ফিরে বাজিমাৎ করেছেন কৌশিক। কাকু কাকু সাজেও মন জয় করেছেন দর্শকদের। এই মুহূর্তে, তার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে সিরিয়াল প্রেমী মেয়েরা ও মেয়েরা। কেউ চাইছে এমন বর জীবনে আসুক, কেউ চাইছে এরকম জামাই মেয়ের জীবনে আসুক।

নতুন বাংলা এই ধারাবাহিক প্রসঙ্গে সংক্ষেপে বললে বলা যায়, বং ক্রাশ কৌশিক সেনের চরিত্রের নাম এখানে অরিন্দম। পেশায় তিনি অ্যাডভোকেট। মাঝবয়সী এই দাপুটে মানুষটা জড়িয়ে যায় হাঁটুর বয়সী এক মেয়ের সঙ্গে। ভাগ্যের পরিহাসে বাঁধা পড়েন মৌড়িগ্রামের অল্পবয়সী মেয়ে বহুরূপী নোলকের সঙ্গে। এই নোলক চরিত্রে অভিনয় করছেন নবাগতা সোমু সরকার (Somu Sarkar)। দুজনের বয়সের ফারাক বিস্তর হলেও এই মুহূর্তে সেরা টিআরপি দিচ্ছে রাজ চক্রবর্তীর ধারাবাহিক ‘গোধূলি আলাপ’।

যারা নিয়মিত ধারাবাহিক দেখেন তাদের বেশিরভাগই পছন্দ করেন ‘মিঠাই’ এর সিদ্ধার্থ কিংবা ‘মন ফাগুনে’র শন ব্যানার্জীকে। এবারে সেই স্বাদ কিছুটা বদল হল। এবং সেই স্বাদ বদল করলেন রাজ চক্রবর্তী। উপস্থাপন করলেন এমন এক মাঝবয়সী অ্যাডভোকেটকে যে কিনা তার বচন ও বুদ্ধি দিয়ে গ্রামের কৃষকদের জমি সংক্রান্ত বিষয় মামলা লড়ে ও জিতে যায়। গল্পে, ওই গ্রামের এক ভদ্রলোক সাক্ষী দেওয়ায়, মামলাটি জিতে যায় অরিন্দম ওরফে কৌশিক সেন। কিছুদিন পর ওই লোকটির মেয়ের বিয়ের সময় বাড়িতে চড়াও হয় এবং পাত্রকে তুলে নিয়ে যায়। ঘটনাচক্রে ঐ বিয়ের মঞ্চে উপস্থিত থাকেন অরিন্দম। সেদিন লগ্ন ভ্রষ্টা মেয়েকে বিয়ে করে ঘরে আনেন অরিন্দম। গল্প এখন টানটান উত্তেজনায় এগিয়ে চললেও একসময় হাঁটুর বয়সী বহুরূপী সেজে ওই মেয়েই মজা করে অরিন্দমকে কাকু বলে ডাকে। ব্যাস, বাংলার দর্শকও ওই মাঝবয়সী কাকুর প্রেমে হাবুডুবু।

চিরদিনই তুমি যে আমার দিয়ে রাজ বুঝিয়ে ছিলেন অর্থ, যশ, বয়স দিয়ে যেমন প্রেমের বিচার হয় না তেমনই বয়সের বিস্তর ফারাক দিয়েও সম্পর্ক বা ভালোবাসার বিচার হয় না। হোক না স্বামী কাকুর বয়সী কিংবা স্ত্রী বড়দিদির বয়সী, আসল কথা হল মন কাকে চায়। মন যদি তরতাজা থেকে তাহলে বয়স শুধুই সংখ্যা।

Related Articles